আমেরিকা হাত পাতল ভারতের কাছে! শি-বাইডেন সাক্ষাতের আগেই দেনা-পাওনা, দিল্লি সতর্ক

।। প্রথম কলকাতা ।।

বাইডেন-জিনপিং মুখোমুখি বড় মিটিং হবে। চীনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারতের থেকে কী চাইল যুক্তরাষ্ট্র? চীন-আমেরিকার মিটিংয়ের পর বড় ঘোষণা হতে পারে। দিল্লি স্পেশাল নজর তারপর কী হবে? রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের সময় যেটা হয়নি। এবার ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের সময় সেটাই হতে চলেছে। এর এফেক্ট আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে যা পড়বে সেটা কি পুরোটা প্রকাশিত হবে। আমেরিকা- চীন, জো বাইডেন-শি জিনপিং কেন মুখোমুখি হচ্ছেন? বিশ্বের সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দী সুপারপাওয়ার এই দুই দেশ। এই মিটিং কি সৌজন্যে বার্তা দেওয়ার জন্য করছে নাকি সত্যিই এর গুরুত্ব মারাত্মক!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক করবেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এক বছরের মধ্যে বিশ্বের দুটি পরাশক্তির মধ্যে এটি হবে দ্বিতীয় বৈঠক। আর বৈঠকে আলোচনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে অর্থনীতি, বাণিজ্য, তাইওয়ান এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস কিন্তু এই টাইমিংটাই বেশ সন্দেহ জোরালো করছে কূটনৈতিক মহলের মনে। এই তো আমেরিকার বিদেশ সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিব ভারতে এসেছিলেন। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কন ও অস্টিন লয়েড ভারতে এলেন বৈঠক করলেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। তবে সেখানে চীনকে নিয়ে কী আলোচনা হল? জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারতের কাছ থেকে এমন কি চাওয়া হল? দিল্লির ওপর কি কোনও চাপের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হল? ভারত তা মানবে নাকি অস্বীকার করে সে নিয়েও এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি কিন্তু ব্লুমবার্গের একটা রিপোর্ট খানিকটা অবাক করছে অনেককেই।

ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে এবার হয়ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে বলবে চীনের বিরোধীতা করতে ভারত যাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে। এশিয়ায় অনেকেই বলছেন দেখুন চীন তাইওয়ানে হামলা করবে না করবে না এটা প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হল চীন কবে তাইওয়ানে অ্যাটাক করবে আর তখন কি ভারত আমেরিকার সঙ্গে দেবে? কারণ এমন কিছু হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক কিছু এক্সপেক্ট করবে ভারতের থেকে। আফ্রিকার সঙ্গে চীন জুড়ে থাকে মালাক্কা প্রণালী দ্বারা। আমেরিকা চায় তাইওয়ানের ওপর চীন কোনওদিন হামলা করলে ভারত যাতে নৌবাহিনী ব্যবহার করে। এই মালাক্কা প্রণালীকে বন্ধ করে দেয় তার ফলে চীনের বড় বড় জাহাজগুলো আর পশ্চিম এশিয়ায় পৌঁছতে পারবে না।

ভারত কি এতে সম্মতি দিল? সেইধরণের কোনও আলোচনা শোনা যায়নি। বিশ্বের তাবড় তাবড় কূটনীতিবিদরা বলছেন আলোচনা যতই বড় বড় বিষয়ে নিয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে হোক না কেন সামধান কিন্তু সেই গোল গোলই আসবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিংয়েরে এক বিবৃতিতে বলেছেন বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা তবে বৈঠক থেকে বড় ধরনের কোনো ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version