আম্বানিদের আম বাগান দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে! কী কী গাছ রয়েছে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

আমের চাষ শুরু করেছেন মুকেশ আম্বানি। তার স্বাদই আলাদা আম্বানিদের আমের ব্র্যান্ড কী জানেন? ধনকুবের মুকেশ-নীতার শখের কথা বলে শেষ হওয়ার নয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমবাগান নাকি আম্বানিদেরই। আম্বানি পরিবারের সবাই বেশ শৌখিন। তাঁদের শখও অনান্যদের থেকে আলাদা। মুকেশ আম্বানির এই বাগানের আম বিশ্বে দুটো পাবেন না। অনেকেই হয়তো জানেন না খাবারের ব্যাপারেও আম্বানি পরিবারের সদস্যরা ভীষণ সৌখিন। নিজস্ব আমবাগান রয়েছে আম্বানি পরিবারের। সেই বাগানে বিশেষ আমের চাষ হয়। তাঁর বাগানে রয়েছে স্বাদে অতুলনীয় আম, দেখলে তাক লেগে যাচ্ছে গোটা দুনিয়ার। এই বাগানে আম চাষের ধরন এক্কেবারে আলাদা। দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে।

গুজরাটে আম্বানিদের ৬০০ একর আমবাগান রয়েছে যেখানে রয়েছে দেশী- বিদেশী দেড় লক্ষ আম গাছ। বর্তমানে দেশের সব থেকে বড় আম রপ্তানিকারক সংস্থা হয়ে উঠেছে রিলায়েন্স। মুকেশ আম্বানি নিজেই এই আম বাগানকে সুবিশাল করে তুলেছেন। গুজরাটের এই আম বাগানটির নাম ধীরুভাই আম্বানি। লখিবাগ আমরাই বাগানে রয়েছে প্রায় ২০০ টিরও বেশি জাতের আম গাছ। সেখানে পাবেন আম্রপালি, নীলম, রত্না, আলফানসো কেশর, সিন্ধু দেশি জাতের পাশাপাশি বিদেশী জাতের যেমন ফ্লোডিলার, টমি অ্যাটকিনস কেন্ট, কেট, ইসরায়েলের লিলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মায়া।

দেশের কাছে রিলায়েন্সৎইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। জ্বালানি, পেট্রোকেমিক্যাল, টেক্সটাইল, প্রাকৃতিক সম্পদ, খুচরো ও টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে গোটা দেশে ব্যবসার জাল বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু এখন রিলায়েন্স বিশ্বের অন্যতম আম রপ্তানিকারক। মুকেশ আম্বানির বাগানে চাষ করা আম বিশ্বের সেরা জাত গুলোর মধ্যে অন্যতম। আচ্ছা আম্বানিদের বাগানের আমকে কীভাবে চিনবেন মুকেশ? রিলায়েন্সের আম খুবই জনপ্রিয় বাজারে। RIL আম নামে আম্বানিরা আম বিক্রি করে থাকে আমের পাশাপাশি এই বাগানে পেয়ারা, তেঁতুল, কাজু, ব্রাজিলিয়ান চেরি, পীচ, ডালিম ও কিছু ঔষধি গাছও চাষ করা হয়ে থাকে। রিলায়েন্সের পক্ষ থেকে আমকে বাজারজাত করার জন্য গঠন করা হয়েছে জামনগর ফার্মস প্রাইভেট লিমিটেড।

শোনা যায় রিলায়েন্স তার নিজের আনন্দে আম বাগান করেনি, বরং বাধ্য হয়েই করতে হয়েছে। আসলে গুজরাটের জামনগরের রিলায়েন্সের একটি শোধনাগার রয়েছে। যেটি বিশ্বের বৃহত্তম শোধনাগার গুলির মধ্যে একটি। দূষণ রুখতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে একাধিকবার এই সংস্থাকে নোটিশ পাঠানো হয়। সংস্থাটি মনে করে, দূষণের সমস্যা বন্ধ করাটা খুব জরুরি। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি লাভের কথা ভাবে রিলায়েন্স। তাই তারা আম বাগান করার সিদ্ধান্ত নেয়। আম বাগানের নাম রাখা হয় ধীরু ভাইয়ের নাম অনুযায়ী। জামনগর রিফাইনারির কাছে অনুর্বর জমিতে আম গাছ লাগানোর কাজ শুরু হয়। জমিটি আম চাষের জন্য উপযুক্ত না হলেও নানা প্রযুক্তির সাহায্যে তা ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে। বর্তমানে এই বাগানে উৎপাদিত আম বিশ্বের বহু দেশে রপ্তানি করা হয়। রিলায়েন্স তার বাগানে ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এবং প্রতিবছর কৃষকদের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ গাছ বিতরণ করে। এই বাগানের শীর্ষ দায়িত্বে রয়েছেন মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। আম বাগানটি বিশ্বের বৃহত্তম আম বাগান বলে মনে করা হয়। বাগানের জল আসে কোম্পানি প্ল্যান্ট থেকে। প্ল্যান্টে বিশেষ উপায়ে শোধন করে নেওয়া হয় সাগরের জল। আম্বানির বাগানে উৎপাদিত আমের চাহিদা এনআরআই গুজরাটিদের মধ্যে সবথেকে বেশি। শোনা যায় ধীরুভাই আম্বানি আম খুব পছন্দ করতেন মুকেশ আম্বানি নিজেও আম প্রেমিক।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version