।। প্রথম কলকাতা ।।
এবার পুজোয় নিজের শহরে আসতে পারছেন না? অফিসের চাপে দুর্গাপূজোয় ছুটিই নেই! আবার কারোর কারোর ওই ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দেখা একদম পছন্দ নয় এদিকে পুজোর সময় বাড়ি বসে থাকলেও মন খারাপ! এবার পুজোয় একটু নিজেকে সময় দিন ঘুরতে যাওয়ার কোন সঙ্গী নেই? একা থেকেও কী ভাবে পুজোৎউপভোগ করবেন! জানেন? পুজোয় এমন এক জায়গায় রয়েছেন যেখানে দুর্গা ঠাকুরের মুখ ও দেখা যায় না। রোজ অফিস ভালো লাগে বলুন তো! বাড়ি ফিরে যেন হতাশা গ্রাস করছে আপনাকে? পূজোর ভিড় ভালো না লাগলে বাড়িতে বসে কি করবেন ভাবছেন।
পুজোর চার দিন নিজের ঘরকে সাজিয়ে তুলুন হালকা রঙের ফুল দিয়ে। পুজোর চারটি দিনে অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে ফিরলে এই ফুল আপনাকে আরাম দেবে। আসল ফুল কেনা সম্ভব না হলে কৃত্রিম ঘরে রাখুন। ঘরটাও অন্য রকম লাগবে। ঘরে ছোট ছোট গাছ রাখতে পারেন তাতে কিছুটা হলেও প্রকৃতির ছোঁয়া থাকবে ঘরে অনেক বেশি প্রাণবন্ত লাগবে। পুজোর দিনগুলিতে কি একাকিত্ব কষ্ট দিচ্ছে আপনাকে? চারপাশের চেনা মুখেরা প্রত্যেকে ব্যস্ত তাঁদের প্রিয়জনদের সময় দিতে।
নিজের যা আছে, যেটুকু আছে সে সব নিয়ে আনন্দ উপভোগ করুন। যা নেই সে সবের দুঃখতে কব্জা করার এটিই সেরা উপায়। জীবনের রিমোট কন্ট্রোল আমাদের হাতে থাকে না, তাই জীবনের সব ঘটনা সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবেন না। এটাই প্রমিস করুন নিজেকে এতে স্ট্রেসমুক্ত থাকতে পারবেন নিজেকে প্রমিস করুন কখনও নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। পুজোর কটা দিন একটু নিজের জন্য রান্না করুন না। দেখবেন মন ভালো থাকবে।
যারা রান্নার বিষয়ে শৌখিন তাদের দেখলেই বুঝতে পারবেন যে তারা মানসিকভাবে রান্নাকে কতটা উপভোগ করছেন। কারণ রান্নার প্রতিটি প্রক্রিয়া আসলে আপনার মনকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। একা ঘরে থাকলে নানা গান শুনুন। দেখবেন অনেকটা হালকা লাগছে। গান শুনলে মন ভালো থাকে। মনের ওপর যদি কোনও চাপ থাকে গান শুনলে তা অনেকটা কমে যায় এবং হালকা বোধ হয়। গান শুনলে রাতে ঘুম ভালো হয়। অনেকেই রাতে শোওয়ার আগে গান শুনে থাকেন তার ফলে অযথা চিন্তা ভাবনা মনে বাসা বাঁধে না। পুজোতে একা কাটাতে হচ্ছে বলে মন খারাপ করবেন না। নিজেকে একটু ভালোবাসুন। দেখবেন জীবনটাই বদলে যাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম