৯৬ ঘন্টা পর গভীর নিম্নচাপের ফাঁড়া, বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা? ঘূর্ণাবর্ত- অক্ষরেখার ডবল এফেক্টে জেরবার ভারত

।। প্রথম কলকাতা ।।

হাতে মাত্র ৯৬ ঘন্টা! সাগরে তুমুল শক্তি বাড়াচ্ছে গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত আর মৌসুমি অক্ষরেখার সাঁড়াশি এফেক্টে কতটা নাকাল বাংলা? ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে কোন কোন জেলা? কতটা রিস্কে অন্ধ্র ওড়িশা? হুহু করে তাপমাত্রার পতন? আবহাওয়ার বড় বদল! বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন? হাওয়া অফিসের সতর্কতা না জানলে ভুল হবে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে মধ্য পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল, যা অলরেডি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

আগামী ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত নিম্নচাপ শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তারপরেই শুরু হবে আসল খেলা। ৯৬ থেকে ১২০ ঘণ্টার মধ্যে ওই নিম্নচাপটা শক্তিবৃদ্ধি করবে। আগামী কয়েকটা দিনে নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেই আশঙ্কা। সঙ্গে একটা মৌসুমি অক্ষরেখা জয়সলমীর থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। কোটা, গুনা, দমোহ, রায়পুর, নিম্নচাপ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ওড়িশা, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর হয়ে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমী অক্ষরেখাটি।

এই দুইয়ের জোড়া ফলায় তুমুল বৃষ্টি হবে কোথায় কোথায়? অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ছত্তীসগড়, তেলেঙ্গনায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষত অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাতের চান্স থাকছে। বাংলার উপকূলেও হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। তবে, বঙ্গোপসাগরের সিস্টেমের এফেক্ট সেভাবে পড়বে না দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ক্ষীন। তবে বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে আগামী কয়েকদিন ধরে। সঙ্গে থাকবে ভ্যাপসা গরমও।

মোদ্দা কথা, তাপমাত্রার খুব একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। তবে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় না থাকায় উত্তরবঙ্গে খুব বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ফলে, কখনও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি, যেমনটা চলছে আপাতত এই আবহাওয়াই চলতে থাকবে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র। ২২, ২৩ ও ২৪ জুলাই শনি, রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে! আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে হাওয়া অফিস এর তরফে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version