।। প্রথম কলকাতা ।।
Adeno Virus: শীতের শেষ বেলায় নতুন খেলা দেখাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা গড়ে প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। ভোরের দিকে দেখা দেয় ঘন কুয়াশা, আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম। এই আবহাওয়াতেই নিজের রূপ বদলে ফেলছে অ্যাডিনো ভাইরাস। শিশুদের (Children) ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ঠিক কতটা মারাত্মক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু বড়দের যদি কোন জটিল অসুখ থাকে তাদেরও সাবধানে থাকতে হবে।
কারা সাবধানে থাকবেন?
শীতের বিদায় মানেই আবহাওয়ার পরিবর্তন। প্রতি বছর এই সময় জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা স্বাভাবিক। কিন্তু করোনার পর পরিস্থিতি বদলেছে। এখন এই ধরনের উপসর্গগুলিকে ভাইরাল বলে ধরলে ভুল করবেন। গোটা রাজ্য জুড়ে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। করোনা যেমন হাঁচি, কাশি কিংবা স্পর্শের মতো মাধ্যমে ছড়ায়। ঠিক একই ভাবে অ্যাডিনো একজনের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়ে। যদি বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, ক্যানসারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হন কিংবা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে কিন্তু এই ভাইরাসের সংক্রমণ গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। সংক্রমণের ধরণ তীব্র আকার ধারণ করলে হতে পারে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, ব্রঙ্কিওলাইটিস আর অ্যাকিউট রেসপিরেটরি।
করোনার মতো ছোঁয়াচে
এখনো পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাসের পাকাপোক্ত কোন ওষুধ নেই। তাই এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি। শিশু থেকে বড়দের মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। ভিড় এলাকা একটু এড়িয়ে চলবেন। বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। বাইরে থেকে এলে পোশাক পরিবর্তন করে হাত মুখ ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন। মনে রাখবেন, অ্যাডিনো কিন্তু করোনার মতোই ছোঁয়াচে। এই সময়ে বড়দের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বড়দের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলে সেখান থেকে ছোটরাও সংক্রমিত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে শিশু রয়েছে তাদেরকে এই সময় একটু বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। এই রোগের এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো ওষুধ নেই। জ্বর সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, পেটে ইনফেকশন, গলা ব্যথা, হাঁপানির মত সমস্যা দেখা দিলে বিন্দুমাত্র দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভাইরাল ভেবে ভুল করবেন না।
এখন কলকাতার নয়া ত্রাস অ্যাডিনো ভাইরাস। এর দাপটে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা পুরো কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক ঝাঁক নির্দেশ দিয়েছে। গত রবিবার পর্যন্ত এই ভাইরাসের জেরে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন শিশুর। ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাসের জেরে ১৩ বছরের এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে ওই নাবালিকা পিয়ারলেশ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। করোনার মতোই চরিত্র বদলাচ্ছে অ্যাডিনো। বৃদ্ধি পাচ্ছে মারণ ক্ষমতা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় ১৪৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম