Kitchen Tips: রান্নাঘরের ছোট্টো ভুল প্রাণ কাড়বে গোটা পরিবারের! গ্যাস লিক বুঝবেন কীভাবে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Kitchen Tips: রান্নাঘরের (Kitchen) একটা ছোট্টো ভুল (Mistake) প্রাণ কাড়বে গোটা পরিবারের। সাজানো গোছানো সংসার মুহূর্তে আগুনে পুড়ে ছাই করে দিতে পারে সামান্য ভুল। মানুষ বাড়িকে সুরক্ষিত করতে কত না কি করে। বড় তালা চাবি লাগান, জানলা দরজা মজবুত করেন অথচ ঘরের মধ্যেই নিজের অজান্তে করে চলেন মারাত্মক কিছু ভুল। এখন ঘরে ঘরেই রয়েছে এলপিজি গ্যাস (LPG gas)। সামান্য লিকের কারণে এই গ্যাস ঘরের মধ্যে ভর্তি হলেই জানবেন ভয়ঙ্কর বিপদ। সামান্য আগুনে স্পর্শ পাওয়া মাত্রই দুম করে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। মুহূর্তে আগুনের ঝলসে যাবে সবকিছু। রোজকার জীবনে ব্যস্ততার মাঝে সামান্য ছোট্ট ভুলের কারণেই এমনটা হতে পারে। বাড়িতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দুর্ঘটনা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। বারংবার খবরের শিরোনামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ভয়াবহ ঘটনার কথা আমরা পড়ি। বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারে লিক আছেন বুঝবেন কি করে? আর যদি গ্যাস লিক হয় তাহলে সেই মুহূর্তে দ্রুত কি করবেন? একটু জেনে নিন।

দৈনন্দিন জীবনযাপনে রান্নার গ্যাস ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে বেশ কষ্ট হয়। সারাদিনের রান্নার জন্য নির্ভর করতে হয় গ্যাসের উপর। তাই বিপদ আছে বলে গ্যাসকে বাদ দেওয়া যাবে না। এলপিজি গ্যাস যে চাপ তৈরি করে তার থেকে কমপক্ষে চার গুণ বেশি চাপ ধারণ ক্ষমতা থাকে গ্যাস সিলিন্ডারের। গ্যাসকে অত্যাধিক চাপ দিয়ে তরলে পরিণত করে সিলিন্ডারে ভরা হয়। তাইতো সামান্য ভুলে মারাত্মক বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। আসলে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের তেমন কোন ভয় নেই, ভয় তখনই হয় যখন সিলিন্ডার গুলো যথাযথভাবে পরিবহন, মজুদ এবং ব্যবহার করা হয় না। বেশিরভাগ গ্যাস সিলিন্ডারে দুর্ঘটনা ঘটে লিক থেকে, যা থাকে গ্যাস ভালভ, রেগুলেটর কিংবা হোস পাইপে। বাজারে এখন নিম্নমানের নানান যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। তাই বাজার থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের জিনিসপত্র কিনতে গেলে একটু ভেবেচিন্তে কিনবেন।

গ্যাসে লিক হয়েছে তার অন্যতম বোঝার উপায় হল গন্ধ। যদি গ্যাসের গন্ধ না নাকে আসে তাহলে দ্রুত খুঁজে বার করুন গ্যাস কোথা থেকে বার হচ্ছে। সেই জায়গায় তাড়াতাড়ি একটি স্কচটেপ লাগিয়ে দিন। তারপর গ্যাস সেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ফোন করুন। আসলে গ্যাস পাইপে লিক হলে একেবারেই বোঝা যায় না। কারণ এই গ্যাস খালি চোখে দেখা যায় না। একমাত্র গন্ধ শুঁকেই বুঝতে হবে যে লিক হয়েছে। যদি গ্যাস লিক হয় মুহূর্তে চারিদিকে জানালা দরজা খুলে দেবেন। সেই জায়গায় আপনি থাকবেন না। এলপিজি গ্যাস যদি নিঃশ্বাসের সঙ্গে আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করে তাহলে কিন্তু বিপদ। আপনি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। শরীরের অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগে বাধা দেয়। যার কারণে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং দম বন্ধ হয়ে আসে। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে মেন ইলেকট্রিক সুইচ দ্রুত বন্ধ করে দেবেন। ভুলেও সেই স্থানে আগুন জ্বালাবেন না। আরো ভালো হয় যদি দ্রুত সিলিন্ডারের রেগুলেটরটা বন্ধ করে দিয়ে একটি সেফটি ক্যাপ পরিয়ে দেন। সিলিন্ডারে যদি বাইচান্স আগুন ধরে যায় আতঙ্কিত না হয়ে মোটা একটি সুতির কাপড় দিয়ে সিলিন্ডার দেখে দিতে পারেন কিংবা নব বন্ধ করে দিতে পারেন। যদিও সেই কাজ অত্যন্ত রিস্কি। সেই সময় গ্যাস সেবা কেন্দ্রে দ্রুত ফোন করা উচিত।

সিলিন্ডার খাড়াভাবে দাঁড় করিয়ে রাখবেন। কখনই কাত করে কিংবা উপুর করে রাখবেন না। খেয়াল রাখবেন সিলিন্ডারের সাথে কোন কিছুর যেন ধাক্কা না লাগে। একদম আগুনের কাছে সিলিন্ডার রাখা উচিত নয়। তাই গ্যাসের ওভেন থেকে সিলিন্ডার পর্যন্ত দূরত্ব থাকবে অন্তত তিন ফুট। সূর্যের আলোর নিচে সিলিন্ডার রাখবেন না, শুষ্ক শুকনো পরিষ্কার জায়গায় রাখবেন।

দেখে কিনুন গ্যাস সিলিন্ডার

এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কেনার আগে একটি সতর্কতা অবশ্যই নেবেন। দেখবেন সিলিন্ডারের গায়ে একটা নম্বর লেখা থাকে। সেই নম্বর ওই সিলিন্ডারের এক্সপায়রি ডেট। এই নম্বরে একটি ক্যাপিটাল লেটার থাকে আর একটি সংখ্যা থাকে। অনেকেই আছেন এই নম্বর ভালোভাবে খেয়াল করেন না। সাধারণত গ্রাহকদের নিরাপত্তার খাতিরে এই নম্বর প্রিন্ট করা হয়। নম্বরে শুরুতে এ,বি,সি,ডি (A,B,C,D) এর মধ্যে যে কোনো একটি লেটার থাকে। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ১২ মাস অর্থাৎ এই ১২টি মাসকে চার দিয়ে ভাগ করা হয়। A বলতে বোঝায় জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাসকে। B বলতে বোঝায় এপ্রিল, মে আর জুন মাস। C বলতে বোঝায় জুলাই, আগস্ট আর সেপ্টেম্বর। অপরদিকে D বলতে বোঝায় অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর মাস। এ বি সি ডি -র পরই থাকে একটি নাম্বার। সাধারণত এটি বছরের সংখ্যা। যদি ২৫ থাকে তাহলে ভাববেন ওই সিলিন্ডারের মেয়াদ ২০২৫ পর্যন্ত। ধরুন বাড়িতে নেওয়া সিলিন্ডারের গায়ে B25 লেখা অর্থাৎ ওই সিলিন্ডারের মেয়াদ ২০২৫ এর এপ্রিল, মে এবং জুন মাস পর্যন্ত থাকবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version