Ghee Making Business: একটি কাঁচামালেই হবে ব্যবসা! কম পুঁজিতে বাড়িতেই শুরু করুন ঘি তৈরি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ghee Making Business: যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করতে গেলেই বেশ কিছু কাঁচামলের প্রয়োজন হয়। তবে আজ এমন একটি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে যেখানে কাঁচামাল হিসেবে প্রয়োজন শুধুমাত্র দুধ। দ্বিতীয় আর কোন কাঁচামালের প্রয়োজন হবে না। অল্প পুঁজি বিনিয়োগে এই দুধ দিয়েই সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন আপনি। আর আপনার বাড়ি যদি হয় গ্রামাঞ্চলের দিকে তবে এই ব্যবসার জন্য সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে আপনার হাতে । ব্যবসাটি হল ঘি তৈরি করার।

সবার বাড়িতে কমবেশি ঘি ব্যবহার করা হয় । তাই এই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোন আশঙ্কায় নেই । আর খা্টি ঘি এর কদর করতে জানেন মানুষ। তাই গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য এই ব্যবসা করা খুবই সহজ। কারণ গ্রামের দিকে বেশিরভাগ জায়গাতেই গরুর ঘাটাল কিংবা প্রতিটা বাড়িতেই গরু প্রতিপালন করা হয়। কীভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন ? কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে ? মাস শেষে লাভই বা হবে কত টাকা ? এই সংক্রান্ত প্রশ্নগুলির উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রইল প্রতিবেদনে।

* ঘি তৈরির ব্যবসায় কত টাকা প্রয়োজন ?

ঘি তৈরি করার ছোট ব্যবসা যদি আপনি শুরু করতে চান তাহলে কম করে কুড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। মাঝারি আকারের ব্যবসা শুরু করতে গেলে পুঁজি রাখতে হবে প্রায় এক লক্ষ টাকা। আর যদি প্রথমে বড় আকারের ব্যবসা শুরু করতে চান তবে তিন লক্ষ টাকার বেশি পুঁজি হাতে নিয়ে ব্যবসায় নামা উচিত।

* ঘি তৈরির ব্যবসার জন্য কী কী মেশিন প্রয়োজন ?

এই ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে কিছু মেশিন অবশ্যই কিনতে হবে । মেশিন ছাড়া পুরনো পদ্ধতিতেও ঘি তৈরি করা যায় কিন্তু তা অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টকর। ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন –
দুধ সংরক্ষণের জন্য বড় পাত্র, মিল্ক হোমোজেনাইজার, ছোট পাম্প ,বয়লার বা ওভেন ,বড় স্টিলের পাত্র , চিলিং মেশিন, দুধ পাস্তুরাইজার , স্টাচ ফিলিং মেশিন এবং মাখন মন্থন মেশিন।

* কী ভাবে তৈরি করা হয় ঘি ?

১. সর্বপ্রথম দুধ সংগ্রহ করে একটি বড় স্টিলের পাত্রে নির্দিষ্ট টেম্পারেচারে সেই দুধকে গরম করতে হবে।

২. এরপর যখন দুধটি ফুটতে শুরু করবে তখন সেটিকে অন্য একটি পাত্রে স্থানান্তরিত করতে হবে।

৩. যখন ওই দুধটি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন তার উপরে মোটা সর পড়বে । আর ঘি তৈরি করার জন্য এই সরটাই প্রয়োজন।

৪. সর সংগ্রহ করে সেটিকে চিলার মেশিনে রেখে দিতে হবে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি টেম্পারেচারে।

৫. এরপর সর গুলিকে মাখন তৈরি করার মেশিনে নিয়ে ভালো করে গ্রাইন্ডিং করে ক্রিম তৈরি করে নিতে হবে।

৬. ভালো করে মন্থন করার পর অপর একটি পাত্রে ঢেলে সেটাকে কিছুক্ষণের জন্য গরম করতে হবে। এরপরই দেখা যাবে অল্প অল্প করে ঘি তৈরি হতে থাকবে।

৭. সেটা আলাদা করে নিতে হবে এবং পরবর্তীতে পরিমাণ মতো ছোট ছোট পাত্রে সেগুলিকে ভরলেই বাজারে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে ঘি।

* কতটা লাভজনক ঘি তৈরির ব্যবসা ?

প্রতি কেজি ঘি তৈরি করতে ব্যবসায়ীর কমপক্ষে খরচ হবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর সেই এক কেজি খাঁটি ঘি যখন বাজারে বিক্রি করা হবে তখন তার পাইকারি মূল্য সব থেকে কম হলেও মিলবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে আপনার হাতে লাভ থাকবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা । প্রতিদিন যদি কোন ব্যবসায়ী ৪০ থেকে ৫০ কেজি ঘি তৈরি করতে পারেন তাহলে দিনশেষে তার লাভের অঙ্ক গিয়ে দাঁড়ায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। একটু হিসাব করলেই বোঝা যায় প্রতিমাসে এই ঘি তৈরির ব্যবসা থেকে আপনি আয় করতে পারেন প্রায় আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version