বোরোলিন তৈরি করে ব্রিটিশদের মুখে কালি লেপেছিল এক বাঙালি!বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠার জার্নি কেমন ছিল?

।। প্রথম কলকাতা ।।

সেই স্বদেশী আন্দোলনের সময় থেকে এখনও ত্বকের যত্নে বোরোলিন। এই ক্রিম তৈরি করে ব্রিটিশদের মুখে কালি লেপে দিয়েছিল এক বাঙালি। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদেরও দম আছে। বিদেশী পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সহজ ছিল না। বোরোলিন নয়! লোকে কেন হাতিওয়ালা ক্রিম বলে ডাকত? সবুজ টিউবের ওপর কালো রঙের মুখ বাঙালীর কাছে আজীবনের নস্টালজিয়া। দেখতে দেখতে ৯৪ বছর পার। কীভাবে বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠল। ‘সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বোরোলিন ?

জানেন কি? বোরোলিন ছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এক বাঙালির নিজেকে প্রমাণ করার লড়াইের অস্ত্র। আর যাঁরা বলেন বাঙালি ব্যবসা করেত পারে না তাঁদের মুখের উপর জবাব। গৌর মোহন দত্ত স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দিয়ে বুঝতে পারেন ভারতকে আর্থিকভাবে স্বর্নিভর করাটা সবার আগে দরকার। তাই এমন পণ্য তৈরি করতে হবেযা বিদেশী পণ্যের সাথে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিতে পারে। কিন্তু মুখে বললেও এ কাজটা সহজ ছিল না। ব্রিটিশদের চোখ রাঙানি, হাজার বাধা সত্ত্বেও গৌর মোহন দত্ত হাল ছাড়েননি। নিজের বাড়িতে দেশীয় পণ্য তৈরি শুরু করেন। ১৯২৯ সালে বাজারে আসে বোরোলিন। কোন রকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই বোরোলিন ঢুকে পড়ে বাঙালির ঘরের অন্দরে। বিদেশী ক্রিমের পরিবর্তে নতুন ক্রিমের ব্যবহার শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির নাম রাখা হয় জিডি ফার্মাসিউটিক্যালস।

এই ক্রিমের প্যাকেটের গায়ে ছিল হাতির লোগো। তাই বিশেষ করে গ্রামবাংলার মানুষ বোরোলিন না বলে হাতিওয়ালা ক্রিম নামে ডাকতে শুরু করে। দেশের স্বাধীনতায় বিনামূল্যে দান করা হয়েছিল এক লক্ষ বোরোলিন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে প্যাকেজিং। এই অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বাঙালির কাছে ম্যাজিকের মতো।হাজার কম্পানি এল গেল কিন্তু গৌর মোহন দত্তের বিশ্বাস ছিল বোরোলিনের জায়গা কেউ নারাতে পারবে না। তা পারেও নি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version