Uttarkashi Tunnel Rescue Operation: উত্তর কাশির অন্ধকূপ থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিক, নিষিদ্ধ পন্থা ইঁদুর গর্ত কী? রুদ্ধশ্বাস লাস্ট ২ ঘন্টা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Uttarkashi Tunnel Rescue Operation: শেষপর্যন্ত উদ্ধার উত্তর কাশি টানেলের ৪১ জন শ্রমিক। ইঁদুর গর্তেই শেষ পর্যন্ত মুশকিল আসান। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মার্কিন যন্ত্রও ফেল হয়ে গেছিল। এই ইঁদুর গর্ত ঠিক কী? পুজো করতে দেখা গেছিল মিশনের বিশ্বকর্মা আর্নল্ড ডিক্সকে। অন্ধকূপ থেকে শেষপর্যন্ত মু্ক্তি উত্তরকাশীতে টানেল বিপর্যয়ের অধ্যায় শেষ হল এবার। সব উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র ফেল মেশিন যা পারল না মানুষ সেটা করে দেখালো, একেবারে উল্টো খেলা। প্রশাসনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গের বাইরে রেডিই ছিল একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্স তাতে চাপিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল শ্রমিকদের।

ইঁদুর গর্ত বা র‍্যাট হোল একে অনেকেই বলে থাকেন অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কিন্তু তাতেই বেঁচে গেল ৪১ জন শ্রমিকের প্রাণ। ইঁদুর যেভাবে গর্ত খুঁড়ে মাটির তলায় বাসা বাঁধে এই পদ্ধতি অত্যন্ত আদিম বা প্রাচীন শুধু নয় অত্যন্ত বিপজ্জনকও। মূলত এদেশেই এখনও কয়লা উত্তোলনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশে এই প্রাণ সংশয়কারী বিপজ্জনক পদ্ধতি উঠে গিয়েছে। খুব সরু গর্ত খুঁড়ে হামাগুড়ি দিয়ে একজনের ঢোকার মতো জায়গা তৈরি করা হয়। ব়্যাট মাইনার্সরা দড়ি, শাবল, গাঁইতি, কোদাল-বেলচা নিয়ে ভিতরে ঢুকবেন। জীবনরক্ষার যাবতীয় সামগ্রী যেমন পর্যাপ্ত অক্সিজেন,
খাবার, জল ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে যাবেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গর্ত খোঁড়ার কাজে আসা রাকেশ রাজপুত নামে খনি খননকারী জানিয়েছিলেন আমাদের মধ্যে তিনজন সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢুকব। একজন ড্রিলিংয়ের কাজ করবে আরেকজন পাথরের চাঙড় সংগ্রহ করবে এবং আরেকজন সেই টুকরো ও চাঙড় ট্রলিতে তুলে ফেলবে। তিনি জানান, এরকম কাজ তারা গত ১০ বছর ধরে করে আসছেন।

এই উদ্ধারকাজ যাতে নির্বিঘ্নে মিটে যায় সে কারণে সুড়ঙ্গের বাইরে প্রার্থনায় বসে পড়েন সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স। এই সুড়ঙ্গ খননের কাজে তিনিই তো আসল রূপকার। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সুড়ঙ্গের বাইরে রয়েছে একটি ছোট অস্থায়ী মন্দির সেখানেই পুরোহিতের সঙ্গে পুজোয় বসেছেন ডিক্স। এই প্রথম নয় যে দিন প্রথম উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল ডিক্সের তত্ত্বাবধানে সেদিনও এই মন্দিরের বাইরে প্রার্থনা করেছিলেন তিনি। উত্তরকাশীতে উদ্ধারকাজের দায়িত্বে ছিল মোট পাঁচটি সংস্থা। ওএনজিসি, এসজেভিএনএল, আরভিএনএল, এনএইচআইডিসিএল এবং টিএইচডিসিএল। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন ডিক্স। সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ হিসাবেই তিনি পরিচিত শেষ পর্যন্ত সাকসেসফুল হল এই ভীষণ কঠিন মিশন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version