Digital Vertigo: ২৪ ঘন্টার সঙ্গী ফোন ? সাবধান! ভার্টিগোর থাবায় জীবন কাটতে পারে হুইলচেয়ারে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Digital Vertigo: সকালে চোখ খোলার পর থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সারাদিনের সঙ্গী হল আমাদের মুঠোফোন (Mobile Phone)। যতক্ষণ জেগে থাকি ততক্ষণ কোনো না কোনো কারণে ফোনের সঙ্গে আমাদের আলাপ চলতেই থাকে। এই ফোন এখন অনেকের উপার্জনের মাধ্যম হয়ে গিয়েছে। অনেকের কাছে আবার ফোনটাই অফিসে পরিণত হয়েছে। তাই ফোন ছাড়া জীবন কল্পনা করাও অসম্ভব। কিন্তু দিনে ১৪ ঘন্টারও বেশি সময় ফোনে কাটানোর ফলে বাকি জীবনটা হুইল চেয়ারের ভরসায় থাকতে হতে পারে আপনাকে।

ডিজিটাল ভার্টিগো (Digital Vertigo) এমন একটি রোগ যা সুস্থ সবল মানুষকে অসুস্থ করে তুলবে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি হারিয়ে ফেলবেন নিজের দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। চলুন বিস্তারিত জানা যাক ভার্টিগো সম্পর্কে।

এই রোগের উপসর্গ কী?

যদি কোন ব্যক্তি দিনের অনেকটা সময় প্রতিনিয়ত ফোনের সঙ্গে কাটান, তাহলে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে যখন তখন মাথা ঘুরে যাওয়ার সমস্যা (Dizziness)। হয়তো দাঁড়িয়ে বা শুয়ে রয়েছেন তখন হঠাৎ করে মনে হল চোখের সামনে নেমে এলো অন্ধকার। মোটকথা এই রোগে শারীরিক ভারসাম্য বিঘ্নিতে হয়।

কেন হয় ডিজিটাল ভার্টিগো ?

দেহের ভারসাম্য রক্ষা করার কাজ মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশের স্নায়ুগুলির। সেই গুলিতে যখন সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় তখনই এই ভার্টিগোর রোগ হয়। ভেস্টিবুলার সিস্টেমের গণ্ডগোল মানেই সেই ব্যক্তি ভার্টিগোতে আক্রান্ত হবেন। এছাড়াও কানের ভিতর কোনরকম সংক্রমণ, সেই সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বমি কানের নালিকায় জল জমা, এমনকি মাইগ্রেন থাকলেও ভার্টিগো হতে পারে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, মস্তিষ্কের কোন বড়সড় রোগের প্রাথমিক সংকেত হিসেবে দেখা দেয় ভার্টিগো। যা শরীরের যেকোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে অকেজো করে দিতে পারে।

এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এক ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার ফেনেলা ফক্স। তাঁর Instagram এ অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ছুঁই ছুঁই। সেখান থেকেই বেশ মোটা টাকা উপার্জন করছেন ফেনেলা। কিন্তু ২০২১ সালে ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক সমস্যা গুলি প্রকট হয়। প্রচন্ড মাথা ব্যথা এবং ঘাড়ে যন্ত্রণা অনুভূত হয় তাঁর। ধীরে ধীরে এই যন্ত্রনা বাড়ে এবং বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানো এই ধরনের সমস্যা গুলিও দেখা দেয়। একটা সময়ে ফেনেলা সোজা হয়ে হাঁটাচলা করার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখন তিনি থাকতেন পর্তুগালে তবে অসুস্থতার কারণে ইংল্যান্ডে মা-বাবার কাছে ফিরে আসেন। বিমানবন্দরে এসে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। যার কারণে সেই সময় তাকে হুইলচেয়ারের সাহায্য নিতে হয়েছিল । আর এখনও তাঁর সঙ্গী সেই হুইল চেয়ার। সম্পূর্ণভাবে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ফেনেলার।

চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থেকে তিনি বর্তমানে কিছুটা সুস্থতা অর্জন করেছেন। কিন্তু তাঁর ভার্টিগো রোগের অন্যতম কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা ফোনের প্রতি অত্যাধিক আসক্তিকে চিহ্নিত করেছেন। এই কারণে এখন তিনি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। কারণ পুনরায় তিনি যদি ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন তাহলে ভার্টিগো ফিরে আসতে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version