ন্যাটোর বোকামিতে জেলেনস্কি জব্দ! মার্কিন অস্ত্রের প্রয়োজনই নেই, রাশিয়ার বড় ফায়দা

।। প্রথম কলকাতা ।।

ন্যাটোর বোকামিতে ইউক্রেন ফের বড় হামলা। রাশিয়া যে ড্রোন হামলা করেছে তাতে হতবাক পশ্চিমা বিশ্ব। কাড়ি কাড়ি টাকার মার্কিন অস্ত্রসাহায্য বিপদে কাজে আসছে না? জেলেনস্কি প্রায়োরিটি বুঝিয়ে দিলেন আসলে ইউক্রেনের কি দরকার। ইউক্রেনের মাটিতে আচমকা আছড়ে পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত্যুদূত। সবমিলিয়ে কমপক্ষে ৭৫টি ড্রোন আছড়ে পড়েছে ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইউক্রেন কিন্তু কিয়েভের কি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে নাকি? সম্প্রতিই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন লয়েড এসেছিলেন। না কিয়েভে আরও ১০০ মিলিয়নের সামরিক সাহায্য ঘোষণা করে দিয়ে গেছিলেন। আমেরিকা বা ন্যাটো কি এমন অস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে যে রাশিয়া হামলা করলে তা কোনওকাজেই লাগছে না! সত্যিটা জানলে সত্যি অবাক হয়ে যাবেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইউক্রেন যখন রক্তাক্ত হচ্ছে তার মানে হচ্ছে ন্যাটোর সামরিক পরিকল্পনা ত্রুটিযুক্ত। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনা বলে দেয় ন্যাটোর পরিকল্পনা টেকসই ছিল না। শনিবার ছয় ঘণ্টা ধরে টানা চলে রাশিয়ার হামলা। ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন দিয়ে এ হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন হামলা চালানো ৭৫টি ড্রোনের ৭১টিই ভূপাতিত হয়েছে। আর এর ঠিক পরেই ইউক্রেনের আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি এটাও পরিস্কার বলে দেন ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষার ঘাটতি রয়েছে। এটি কোনও গোপন বিষয় নয় আর শীত পড়ার আগে সেই সুযোগটাই বড় লেভেলে তুলছে রাশিয়া ও রাশিয়ার বাদশা পুতিন।

এছাড়াও গোলাবারুদের ক্ষেত্রে একটা প্রধান সংকট তৈরি হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে কতটা গোলাবারুদ দরকার সেই হিসাব করতে পারেননি ন্যাটোর পরিকল্পকেরা। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইউক্রেনের কাছে মূলত দূরপাল্লার গোলা সরবরাহ করেছে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সেখানেও অভাব। ইউরোপীয়রা এখন বলছেন ইউক্রেনে পাঠানো গোলাবারুদ ফিরিয়ে আনা দরকার। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ নেই। এর মানে ইউক্রেনকে সাহায্য করতে গিয়ে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা দুর্বল হচ্ছে। এর ফায়দাও তো রাশিয়া তুলতে পারে। জেলেনস্কির দাবি ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি রুটগুলোর পাশাপাশি রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোকে রক্ষা করার জন্য কিয়েভের আরও আকাশ প্রতিরক্ষা প্রয়োজন কিন্তু কে দেবে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা? বড় প্রশ্ন উঠছে সেখানেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version