ব্যালট বক্স এবার হাসিনার বিরুদ্ধে যাবে? যত কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর

।। প্রথম কলকাতা ।।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারছে না বাংলাদেশ। চরম অনিশ্চয়তা। এত কিছু নিয়ে কি ভাবছেন শেখ হাসিনা? কোন পরিকল্পনায় নির্বাচন করবেন? পিছনে চলছে প্রচুর চক্রান্ত। কিভাবে বাঁচবে দেশটা? বিএনপির নেতাদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বড় কথা বলে ফেললেন শেখ হাসিনা। একদিকে আওয়ামীলীগ, অপরদিকে বিএনপি। দুই রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মধ্যে ফারাকটা ঠিক কোথায় বলুন তো? নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। পঙ্গু হয়ে যাবে দেশটা! আশঙ্কা শেখ হাসিনার।

একটু আন্তর্জাতিক খবরের দিকে চোখ রাখলে দেখতে পাবেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিন্তু একদম ভালো নয়। কোনো রাজনৈতিক দল এখনো সুষ্ঠু আলোচনায় বসেনি। বেশ উদ্বিগ্ন দেশটার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ জুড়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা থেকে দেশটাকে বাঁচাতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা দিক থেকে চলছে চক্রান্ত। শেখ হাসিনা মনে করছেন, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাই তো নির্বিচারে চলছে অগ্নি সন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, ভাংচুর। সব মিলিয়ে, বাংলাদেশে স্বাভাবিক স্থিতিশীল পরিস্থিতি নেই। সব রকম ভাবে সবদিক থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। এই সময়টা সবাইকে এক হয়ে না চললে ভীষণ মুশকিল। শেখ হাসিনার এত কথা, এত মনের জোর সব কিছুরই শক্তি দেশবাসী। বিএনপি সম্পর্কে কড়া সমালোচনা করে জানান, বাংলাদেশের মানুষ যখন শান্তিতে থাকে ঠিক তখনই রাস্তায় নেমে অশান্তি সৃষ্টি করে। সেই অশান্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে দেশটাকে। তবেই বাঁচবে দেশের মানুষ।

সম্প্রতি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, বাংলাদেশ জুড়ে চলছে গ্রেফতার, গাড়ি ভাঙচুর থেকে সহিংসতার ঘটনা। গ্রেফতার হয়েছেন প্রচুর বিএনপি নেতা। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, তাদেরকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? এই নিয়ে বহু বিদেশি রাষ্ট্র কথা বলছে। প্রশ্ন হল, সেই সব দেশে যদি এমন ঘটত? তখন সেই দেশগুলো কি করত? কোথাও গিয়ে ঠুকে কথা বললেন কয়েকটা চোখাচোখা রাষ্ট্রকে। ইঙ্গিত করলেন যুক্তরাষ্ট্রকে। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য, জনগণের অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া। সুষ্ঠুভাবে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা।

বাংলাদেশের মাটি এখন ভীষণ গরম। বিএনপি সহ বিরোধী দল এক জোটে নেমেছে আন্দোলনে। দাবি একটাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। পাশাপাশি চাই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার । শেখ হাসিনার দাবি, কেন পদত্যাগ করতে হবে? কারণটা কি? আওয়ামী লীগ বিএনপির ওপর গ্রেনেড হামলা করেনি কিংবা কোন অত্যাচারও করেনি। সরকারের দায়িত্ব মানুষকে রক্ষা করা। আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার ক্ষমতায়। বিন্দুমাত্র কমেনি জনপ্রিয়তা। বরং ৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগের উপর ভরসা করে। গত মাসেও একই কথা শোনা গিয়েছিল শেখ হাসিনার গলায়। তখনো বলেছিলেন, অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে। কিন্তু তার ভরসা দেশের মানুষ। নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ যেভাবে স্বাধীনতা পেয়েছে, তেমনি উন্নয়ন হয়েছে দেশজুড়ে।

যতই যাই হোক। নির্বাচন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। গোটা বিশ্বজুড়ে নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য, দ্বন্দ্ব কম বেশি দেখা যায়। তার ব্যতিক্রম হয়নি বাংলাদেশও। তবে শেষ কথা বলবে দেশটার জনগণই। নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তভাবে হওয়াটাই কাম্য। বাংলাদেশের মানুষ এই মুহূর্তে ঠিক কোন দলের পাশে রয়েছে, সেই উত্তর তো দেবে ব্যালটবক্স। আপনার কি মনে হয়? কোন দল জয়ী হবে? পুনরায় আবার কি ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ? নাকি অন্য কোন রাজনৈতিক দল? বাংলাদেশ সরকার হিসেবে কাকে দেখতে চান? জানান আমাদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version