Tarakeswar Shiv temple: বাঁক কাঁধে তারকেশ্বরে পুজো দিতে কেন যান ভক্তরা? বিশেষ নিয়মগুলো জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Tarakeswar Shiv temple: সব কাজে বাধা আসছে? শ্রাবণে তারকেশ্বরে বাবা ভোলানাথের পায়ে মাথা ঠেকান। বাঁক কাঁধে কেন এইসময়ে মহাদেব ধামে যান ভক্তরা? জানেন? জাতি-ধর্ম-বর্ণ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ভোলানাথের এই মন্দিরে শাস্ত্র মতে শিব সহজে প্রসন্ন হন। তারকেশ্বর যাত্রার নিয়মগুলো জানেন কি? যা না মানলে মহাদেব সন্তুষ্ট হন না। শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার তারকেশ্বরে শিবলিঙ্গে জল ঢালতে হাজির হন হাজার হাজার মানুষ। শিবভক্তদের বিশ্বাস, শ্রাবণ মাসের সোমবার শিবলিঙ্গে জল ঢাললে পূরণ হয় সব মনষ্কামনা। কিন্তু প্রতিবছর বাঁক কাধে নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে ভক্তরা কেন আসেন তারকেশ্বরে? ভোলানাথের কোন মায়ায় জড়িয়ে যান পুণ্যার্থীরা?

তারকেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস বহু পুরনো এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা এক অবাঙালি। শোনা যায় তারকেশ্বরের শিবলিঙ্গ কেউ স্থাপন করেননি তাই সেখানে শিব স্বয়ং আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই তারকেশ্বরের শিবলিঙ্গকে বলা হয় স্বয়ম্ভূলিঙ্গ। মন্দিরের উত্তরে পুকুরকে দুধপুকুর বলা হয় ভক্তদের বিশ্বাস এই পুকুরে স্নান করলে মনোস্কামনা পূরণ হবেই। শ্রাবণে মহাদেবকে তুষ্ট করতে বাঁক কাঁধে খালি পায়ে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা হন ভক্তরাএই বাঁক কাঁধে কেন নেওয়া হয়?তার কারণ জানেন না অনেকেই। মনে করা হয় শিবের জলাভিষেক করলে তিনি সন্তুষ্ট হন। ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন। গঙ্গার জল কলসিতে ভরে বাঁক কাঁধে। তারকেশ্বর যাত্রা করেন তাঁর অসংখ্য ভক্ত। এ যেন এক মিলনোৎসব বিশ্বাস রয়েছে জল ভর্তি কলসির বাঁক কাঁধে নিয়ে যাত্রা শেষে সেই জল দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে মহাদেবের আর্শিবাদে নাকি সব বিপদ কেটে যায়। এই যাত্রার নিয়মগুলো না মানলে নাকি সন্তুষ্ট হন না মহাদেব।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী বহু যুগ আগে এক ভক্ত মা-বাবার ইচ্ছাপূরণের উদ্দেশে তাঁদের বাঁকে বসিয়ে হরিদ্বার নিয়ে আসেন। সেখানে গঙ্গাস্নান করার পর গঙ্গাজল নিয়ে আসেন। তার পর থেকেই বাঁক কাধে যাত্রা শুরু হয়।শিব সহজে প্রসন্ন হন। ভক্তদের মনে তাঁর প্রতি ভক্তিই শিবকে প্রসন্ন করে দিতে পারে। এক কলসি জলেই সন্তুষ্ট মহাদেব। এইসময়েই শ্রাবণী মেলা চলে তারকেশ্বের। মেলার টানেও অনেকেই আসেন। পণ্ডিতদের মতে বাঁক কাঁধে যাত্রা শুরু করার পর গন্তব্যে পৌঁছনো পর্যন্ত তা ভুলেও মাটিতে রাখবেন না। তাই বাঁক যাত্রার পথে পথে ভক্তদের বিশ্রাম স্থান তৈরি করা হয়। উঁচুতে বাঁক টাঙিয়ে রাখার ব্যবস্থাও করা থাকে। খালি পায়ে এই যাত্রা করতে হয়। যাত্রার সূচনা থেকে শুরু করে শেষ হওয়া পর্যন্ত খালি পায়ে হাঁটতে হয়।তারকেশ্বরের শিব লিঙ্গের সচরাচর দেখা যায় না।তাই যে কোনও বাধা কাটাতে দেবাদিদেবের চরণমূলে আশ্রয় পেতে তারকেশ্বরে পুজো দেন অনেকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version