কানাডার সেনাপ্রধান ভারতে এলেন কেন ? গোপনে ট্রুডোর কোন চাল, দিল্লি ছাড়া গতি নেই

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতে কেন পাঠানো হল কানাডার আর্মি চিফকে? দিল্লিকে নিয়ে সিক্রেট প্ল্যান নাকি CSISর? ভারত কেন অনুমতি দিল দেশে ঢোকার? কানাডার সেনাপ্রধান ভারতে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন। ভারতের সঙ্গে যখন উত্তেজনা চরমে ট্রুডোর একটাও সুযোগ ছাড়ছেন না দিল্লিকে অপদস্ত করার। তখন কানাডা সেনাবাহিনীর ডেপুটি আর্মি চিফ পিটার স্কট ভারতে কেন? তার ওপর ভারতে এসে তিনি যা বললেন তাতে অনেকেই বলছেন অঙ্ক তো কোনওভাবেই মিলছে না। কানাডা কি বুঝতে পারছে ভারত হাত তুলে নিলে ইন্দো প্যাসিফিক এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়বে ওটাওয়া?

কানাডার সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক কেমন? ভারত কানাডার হাত ছেড়ে দিলে কতটা বিপদে পড়তে পারে দেশটা। ডেপুটি আর্মি চিফ পিটার স্কট ভারতে এসে যা বললেন যা যেন একপ্রকার জাস্টিন ট্রুডোর উল্টো কথা। এমনি এমনি কিন্তু প্রাক্তন মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক মাইকেল রুবিন একে পিঁপড়ে ও হাতির যুদ্ধ বলেনি‌ অবশ্যই সেখানে পিঁপড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কানাডাকে তাই কূটনৈতিক স্তরে দিল্লির ওপর একের পর এক অভিযোগ তুললেও ট্রুডো কিন্তু ডিফেন্স ক্ষেত্রকে সবল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তলায় তলায় এমনটাই দাবি কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। দিল্লিতে পা রেখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন কানাডার ডেপুটি আর্মি চিফ মেজর জেনারেল পিটার স্কট। তিনি বলেন, “ভারত-কানাডা সম্পর্কে উন্নতির লক্ষ্যেই এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি চাই আমরা”। কিন্তু উন্নতি চাইলে ট্রুডো বাঁকা পথে হাঁটছেন কেন? তাহলে প্রকাশ্যে এক আর গোপনে আরেক।

বিশ্লেষকেরা বলছেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চাইতেই হবে। কারণ ভারতকে ছাড়া আল্টিমেটলি উপায় নেই কানাডার। বিশ্ব রাজনীতির বৃহত্তর দাবার বোর্ডে ভারত এক গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ ভারত যে শুধুই একটি ক্রমবর্ধমান শক্তি সেটাই নয় ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ এবং পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আরা কানাডার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চীনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সুরক্ষা প্রাচীর হিসেবেও ভারতকে দেখছে পশ্চিমা দেশগুলি। স্কট আরও বলছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কী জানিয়েছেন সে সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। সরকার যে ভারতকে তদন্তে যোগ দিতে ও সহযোগিতা করতে আর্জি জানিয়েছে, সেটাও জানি কিন্তু সত্যি কথা বলতে এখানে ইন্দো-প্যাসিফিক কনফারেন্সে তার কোনও প্রভাব নেই আমরা এখানে সেনাস্তরে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এসেছি ওই বিষয়টি আমাদের দুই সরকার বুঝে নেবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন এটা মনে রাখতে হবে যে চীন ইস্যুতে কৌশলগত দিক থেকে কানাডার চেয়ে ভারত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দো-প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় দাদাগিরি চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং সেটা বন্ধ করতে গেলে ভারতের মতো বন্ধু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা একেবারেই উচিত হবে না কানাডার। একদিকে ট্রুডোর রাজনৈতিক টানাপোড়েন অন্যদিকে প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কানাডা যে ভারতকে ইগনোর করার ক্ষমতা রাখে না সেটা কিন্তু প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে আবারও। কানাডা ইস্যুতে প্রথমেই ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়ে দিয়েছিল এধরণের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রভাব কোনওভাবে দুদেশের সেনায় পড়বে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version