Kangana Ranaut: কঙ্গনার সাথে পাঙ্গা নেওয়া কুলবিন্দর আসলে কে ? বড়সড় শাস্তির মুখে CISF জওয়ান

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Kangana Ranaut: কঙ্গনার গায়ে হাত তোলার পর বড় মাশুল গুনছেন কুলবিন্দর কৌর। সাসপেনশনের পর এবার শুক্রবার গ্রেফতার হলেন CISF জওয়ান কুলবিন্দর কৌর।হতে পারে আরও বড় শাস্তি। কিন্তু কে এই কুলবিন্দর কৌর? জানেন কী তার পরিচয়? কেনই বা ঘটালেন থাপ্পড়কাণ্ড? কৃষক পরিবারের এই মেয়ের কঙ্গনার প্রতি এত ক্ষোভ কেন?

 

কঙ্গনার গায়ে হাত তুলে তিনি যে বিরাট বড়সড় কাণ্ড ঘটিয়েছেন সেটা তো বলাই বাহুল্য। গতকালই তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল আর এবার তো গ্রেফতারও করা হল। তারপর থেকেই গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কেবল কুলবিন্দরের চর্চা।

 

আর হবে নাই বা কেন? হবু সাংসদের গায়ে হাত তোলা কি কম বড় ব্যাপার নাকি! সে তিনি যতই CISF জওয়ান হোক না কেন! তবে কে এই কুলবিন্দর কৌর? যিনি কঙ্গনার মত একজন বড় তারকা সাংসদের গায়ে হাত তোলার সাহস দেখিয়েছেন? কীসের ক্ষোভ ছিল কুলবিন্দর কউরের?

 

জানা গেল কুলবিন্দর পঞ্জাবের সুলতানপুর লোধির বাসিন্দা। এখন তার বয়স প্রায় ৩৫। বাড়িতে তার দুই সন্তানও রয়েছে। তার স্বামীও CISF জওয়ান। ওদিকে তিনিও চণ্ডীগড় বিমানবন্দরেই কর্মরত। কৃষক পরিবারের সন্তান কুলবিন্দর ২০০৯ সালে CISF-এ যোগ দেন। ২০২১ সাল থেকেই চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি গ্রুপ ফোর্সে রয়েছেন তিনি।

 

তবে মজার বিষয় হল, দীর্ঘ কেরিয়ারে কুলবিন্দের বিরুদ্ধে কিন্তু একটাও বড় অভিযোগ নেই। এটাই নাকি প্রথম‌। তাই প্রশ্ন তো উঠছেই। হঠাৎ করেই এমন কাণ্ড কেন ঘটালেন তিনি। দেশের হবু সাংসদের গায়ে হাত তোলাটা যে কত বড় অপরাধ, তা কি তিনি জানতেন না? নিশ্চয় জানতেন। তারপরেও এই কাজ কেন? তার উত্তর দিয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ান নিজেই।

 

কুলবিন্দরের কথা থেকেই জানা গেল, কৃষক আন্দোলনের সময় কঙ্গনার একটি মন্তব্য নাকি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তিনি। আর সেই কারণেই বিমানবন্দরে তাকে দেখেই মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল তার। ইচ্ছা করেই নাকি সাংসদ অভিনেত্রীর গায়ে হাত তুলেছিলেন। কিন্তু কঙ্গনা কী এমন বলেছিলেন যে, কুলবিন্দর এত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন।

 

খোঁজ নিতেই জানা গেল, কুলবিন্দরের ভাই শের সিংহ একজন কৃষক নেতা। ‘কিসান মজদুর সংগ্রাম কমিটি’র সম্পাদক তিনি। কৃষি বিল বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। এমনকি তার মা-ও কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। অর্থাৎ এটা তো বুঝতেই পারছেন যে, কুলবিন্দর আদ্যপান্ত কৃষক আন্দোলনের সমর্থক। ওদিকে কঙ্গনা আবার এটার ঘোর বিরোধী।

 

একটা সময় বিস্তর সমালোচনাও করেছেন নায়িকা। তাতেই নাকি আপত্তি রয়েছে কুলবিন্দরের। ক্ষোভ মিশ্রিত গলায় তিনি বলেন, ‘‘কৃষক আন্দোলনের সময় ও বলেছিল, ১০০টাকায় ওরা বসে৷ ও বসেছিল ওখানে? আমার মা বসেছিল৷’’ যদিও কারণ যাই হোক না কেন, একজন সাংসদের গায়ে হাত তোলাটা একেবারেই মেনে নিতে পারেনি নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই বলছেন, মতের অমিল হওয়ায় তিনি যদি একজন সাংসদের গায়ে হাত তুলতে পারেন, তাহলে আম জনতার সাথে কী ব্যবহার করবেন? সেক্ষেত্রে তো তিনি আরও খারাপ কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারেন? আচ্ছা এই বিষয়টায় আপনার কী মনে হয়? কারও মতামত না মিললেই তার গায়ে হাত তোলাটা কি ঠিক? আজ এটা কঙ্গনার জায়গায় অন্য কোনও সাধারণ মানুষ হলে তার কী হত? কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন আপনার মতামত।

https://fb.watch/szIkU1LMRM/

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version