পাকিস্তানে দিল্লির শত্রুদের শেষ করেছে কে ? গুপ্তঘাতক ঘুরে বেড়াচ্ছে, ISI সাবধান

।। প্রথম কলকাতা ।।

পাকিস্তানে ঢুকে দিল্লির দুশমনদের কে খতম করছে? পাকিস্তানের বুকে ‘অপারেশন র‍্যাথ অফ গড’! ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের লিস্টে থাকা এক এক জঙ্গি শেষ। কানাডা যে ভুল করেছে পাকিস্তান না করলেই ভালো। পাকিস্তান দিশেহারা। যাদের এতদিন দুধ কলা দিয়ে পুষেছিল তারা যাতে ভারতের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া যায় সময়ে অসময়ে তাদের পাকিস্তানে ঢুকে কারা খতম করে যাচ্ছে? ভাববেন না আইএসআই এর খোঁজ জানে না। বরং এমনটা হতে পারে এমূহুর্তে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মুখ খুলতে পারছে না পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা। একটা রিপোর্ট বলা হচ্ছে বিগত দুবছরে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে গুপ্তঘাতকরা। আর সেই গুপ্তঘাতকদের শিকার হয়েছে অজ্ঞাত অন্তত বারো জন জেহাদি। নিহতদের মধ্যে রয়েছে টপ টপ জঙ্গি লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদ ও খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। সবচেয়ে বড় কথা হল এরা প্রত্যেকেই ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কারা হত্যা করল এদের?

অবশ্য অনেকেই বলছেন এক্ষেত্রে কানাডার মতো ভুল পাকিস্তান হয়ত করবে না। কানাডা যেমন নিজ্জরের হত্যার নেপথ্যে ভারতকে দায়ী করেছে। আর সবথেকে বড় কথা বারবার প্রমাণ চাওয়া সত্ত্বেও একটাও প্রমাণ তুলে ধরতে পারেনি ওটাওয়া। পাকিস্তান মনে মনে  এর নাম নিলেও হয়ত প্রকাশ্যে কোনওধরণের ঘোষণা করবে না। দেখুন সবথেকে সাম্প্রতিক ঘটনা ১৩ নভেম্বরের করাচিতে ঘাতকদের হাতে প্রাণ যায় মৌলানা রহিমউল্লা তারিকের। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ ছিল। সে এর আগে, ৯ নভেম্বর খুন হয় লস্কর জঙ্গি। আকরাম খাব ওরফে আকরাম গাজী থাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তাকে গুলি করে খুন করা হয়। আততায়ী কারা বা কে যানা যায়নি কোন ট্রেসও পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনাগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পাক সরকার এমনটাই দাবি পাকিস্তানের একাংশের।

বিশ্লেষকদের একাংশের মতে পাকিস্তানের বুকে ‘অপারেশন র‍্যাথ অফ গড’-এর কায়দায় অভিযান চলছে। যেমন ১৯৭৬-এর মিউনিখ অলিম্পিক হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ‘অপারেশন র‍্যাথ অফ গড’ শুরু করেছিল ইজরায়েল। ইউরোপ-সহ বিশ্বজুড়ে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’-এর নেতাদের হত্যা করে মোসাদ ২০২১ সাল থেকে এভাবেই পাকিস্তানের বুকে গোপন মিশন শুরু হয়েছে তবে কারা করছে কেউ জানে না। অনেকেরই দাবি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর নিজেদের সংঘর্ষে এর পক্ষ আরেক পক্ষকে শেষ করছে এমনটাও হতে পারে। তবে এতে যে আদতে ভারতের লাভ হচ্ছে তা বলার বোধহয় প্রয়োজন নেই দিল্লি হিটলিস্টে থাকা একের পর এক জঙ্গি খতম হচ্ছে একের পর এক।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version