Bangladesh China: বাংলাদেশ চীন সম্পর্ক কোন পথে? ভারতের তুলনা টানছে যুক্তরাষ্ট্র

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh China: “ট্রাম্প কার্ড” বাংলাদেশ। বাংলাদেশে আগ্রহ বাড়ছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানের। কিন্তু বাংলাদেশ ঝুঁকছে কোন দিকে? চীনকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান। তাহলে কি বাংলাদেশ চীন গলায় গলায় বন্ধু? ভারতের থেকে শেখার আছে বাংলাদেশের। আজ বাংলাদেশ চীনের কৌশলগত সম্পর্ক যা, ভবিষ্যতেও কি তা একই থাকবে? কোন কোন বিষয় নিয়ে চীনের সাথে দন্দ্বে জড়াতে পারে বাংলাদেশ? কি বলছেন বিশ্লেষকরা? বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক যখন খুব একটা সহজ পথে এগোচ্ছে না তখন, বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকছে কিনা সেই বিষয়টা ভীষণ রকম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কাই সত্যি?

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিসংখ্যান কিংবা দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা দ্বিপাক্ষীয় চুক্তির সংখ্যা দিয়ে আর যাই হোক সম্পর্কের ব্যপ্তিটা আসলে বোঝা যায় না। এদিকে চীনকে নিয়ে যত ইনসিকিউরিটি বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপানের। ততই বাংলাদেশ মাঝখান থেকে চাপে পড়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু বুঝতে হবে, শুধু চীন নয়। বাংলাদেশ সবসময় কোনো দেশের সাথে শত্রুতামূলক সম্পর্কে না জড়িয়ে নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি মেনে চলেছে।

কিন্তু, তারপরেও বাংলাদেশের ওপর চীনের প্রভাব বাড়তে থাকার বিষয়টা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে, এটা বলা হয়। এখন তো চারিদিকে এটা নিয়েও লেখালেখি শুরু হয়ে গেছে, চীনের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই কি হাসিনা সরকারের ওপর আমেরিকার চাপের প্রধান কারণ? উত্তরটা হ্যাঁ বাচক হয়ে থাকলে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতামত যুক্তরাষ্ট্রের কলিজা ঠান্ডা করবে। কেন কি বলছে বিবিসির রিপোর্ট? চীনের সাথে বর্তমানে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্ক ভালো হলেও ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটা বিষয় নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

সম্ভাব্য তিনটে ইস্যু রয়েছে। কি কি?

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব মোটেই এরকম নয় বলছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশের অনেক প্রয়োজন আছে যেগুলোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বা অনেক পশ্চিমা দেশ হয়তো সাহায্য করতে পারে না। সেরকম ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি চীনের কাছ থেকে সাহায্য পায় তাহলে, তারা খুশি হবে না, কিন্তু আপত্তিও করবে না। কিরকম? এক্ষেত্রে কিন্তু ভারত বাংলাদেশের কাছে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ চলাকালীন সময় রাশিয়া থেকে ভারত তেল কিনছে। ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে, এস-৪০০ মিসাইল কিনেছে। কিন্তু আমেরিকার সাথে ভারতের সম্পর্কে ভাটা পড়েনি। আসলে, ভারত বিষয়টা বোঝাতে পেরেছে যে রাশিয়া থেকে তেল না কিনলে ভারতের পক্ষে তেল পাওয়াটা কঠিন। আমেরিকাও কিন্তু সেখানে ভারতের যুক্তি মেনেছে। তাহলে বাংলাদেশ কেন পারবে না?

এই ধরণের বিষয়ে আমেরিকার সাথে আলোচনা ও দর কষাকষির জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আরো জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয় কি? সময়ের সাথে সাথে সেই দিকটাও অবশ্যই নজরে থাকবে। তবে এটা একেবারে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, বাংলাদেশকে নিয়ে দড়ি টানাটানি থাকলেও, বাংলাদেশের প্রতি চীন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের আগ্রহ থাকলেও, বাংলাদেশ কিন্তু সবার সাথে বন্ধুত্ব রাখতে চায়। কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা জোটের সাথে বন্ধুত্ব চায় না। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান কাউকেই ছাড়তে পারবে না বাংলাদেশ। কোনো নির্দিষ্ট পক্ষের সাথে বন্ধুত্ব বা শত্রুতা রাখলে বাংলাদেশে যেরকম উন্নয়নের ধারা রয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে পারবে না বলে মত প্রকাশ বিশেষজ্ঞদের। তাই, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়। এই পররাষ্ট্রনীতিই বাংলাদেশের স্ট্যাণ্ড পয়েন্ট।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version