Iran russia: ইরানের টপ সিক্রেট ঈগল-৪৪ কোথায়? হদিশ পেয়ে গেল আমেরিকা! রাশিয়ার ব্লান্ডান না অন্য গেম?

।। সুচিত্রা রায় চৌধুরী ।।

Iran russia: ইরানকে মারাত্মক রিটার্ন গিফট দিল মস্কো৷ যুদ্ধের মাঝে লেগে যেতে পারে আরও একটা যুদ্ধ৷ পুতিনের একটা ব্লান্ডারে আন্ডারগ্রাউন্ড বেসক্যাম্প টপ সিক্রেট ঈগল ৪৪র সর্বনাশ হতে পারে৷ ওত পেতে তো বসেই ছিল আমেরিকা-ইজারায়েল এবার ক্লু হাতে৷ মধ্যপ্রাচ্য রণক্ষেত্রে নেমে গেলে ইউরোপ সামলাতে পারবে? কাসেম সোলেইমানিকে আমেরিকার হত্যাই কাল! মিডল ইস্টে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্ম৷ ইরানের ক্ষোভের আগুন এখনও নেভেনি তারওপর মস্কোর হাওয়া৷ পেন্টাগন পুতিনের নতুন ফাঁদে পা দিলেই এ কোন দিকে টার্ন নেবে লড়াই? কিন্তু রাশিয়ার একটা ব্লান্ডারে জলে চলে যেতে পারে ইরানের ১০ বছরের পরিশ্রম৷

আমেরিকা জানতে পেরে গেল কোথায় রয়েছে ইরানের সিক্রেট ঈগল ৪৪! ইজারায়েল বড় হামলা করে দেবে না তো আন্ডারগ্রাউন্ড এয়ারবেসে? হাই রিস্ক এখনই৷ ইরানের মাটির তলায় এই এয়ারবেসেই তো তেহেরানের আসল প্রাণ৷ সব ধরনের যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান ও ড্রোন পরিচালনা করা যায় এখান থেকেই৷ এই ঘাঁটিতে কমান্ড সেন্টার, এয়ারক্রাফট হ্যাঙ্গার, মেরামত কেন্দ্র এবং নেভিগেশন সেন্টার সকল আধুনিক সুবিধা রয়েছে৷ এই হাই রিস্ক জোনে হামলা করলে লেগে যেতে পারে আরও একটা যুদ্ধ, বলছে কূটনৈতিক মহল৷ ইরানের লাগাতার বেড়ে চলা পরমাণু অস্ত্র তৈরি আশঙ্কা আমেরিকা কেন গোটা ইউরোপের কাছে থ্রেট৷ ইরান মস্কোকে কীভাবে লাগাতার ড্রোনের জোগান দিয়েছে জানতে বাকি নেই কারোর৷ ২০০০টা শাহিদ-১৩৬র ডিল ক্রেমলিনের সঙ্গে ইউক্রেনের ঘুম উড়িয়েছে৷ ইউরাএশিয়ান টাইমসের রিপোর্ট বলছে, পাল্টা রাশিয়াও এবার তেহেরানকে দিয়ে দিল মাল্টিরোল ফাইটার জেট সুখোই এসইউ-৩৫৷ কিন্তু কোথাও কি একটু বেশিই তাড়াহুড়ো হয়ে গেল?

মস্কোর সঙ্গে ইরানের শুধু অস্ত্র লেনদেন নয় বাণিজ্য খাতে চড়চড় করে হচ্ছে উন্নতি৷ ২০২২ রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার পৌঁছা
যা আগের বছরের থেকে ১৫ শতাংশ বেশি৷ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপের মুখে পড়েও দুই দেশই পারস্পরিক বাণিজ্য গড়ে তোলার জন্য পুরোপুরি সক্রিয়৷ ইরান দাবি করছে দুরপাল্লার হাইপারসনিক মিশাইল বানিয়ে ফেলেছে তারা৷ ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও নাকি একে ধ্বংস করতে পারবে না৷ কিন্তু নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য বলছে তাদের স্যাটালাইটেই ধরা পড়ে গিয়েছে ইরানের মাটির তলায় গোপন এয়ারবেসের লোকেশন৷ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ইরান গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ভুগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটির ভিডিও প্রকাশ করে৷ কিন্তু এই অঞ্চলের খোঁজ কেউ জানত না৷ তাদের এই এয়ারবেস রয়েছে হরমুজ প্রণালির একেবারে কাছে হরমুজে প্রণালির উত্তর দিকে ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত৷ আর এই হরমুজ প্রণালিই গোটা বিশ্বের তেল সাপ্লাইয়ের সবথেকে বড় রুট৷ কিন্তু পশ্চিমারা এর খোঁজ পেল কীভাবে? রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে বলছে, ঈগল-৪৪ এয়ারবেসের বাইরেই দাঁড় করানো রয়েছে রাশিয়ার এসইউ-৩৫ ফাইটার জেট৷ সেই ছবিই নাকি ক্যাপচার করে ফেলেছে স্যাটেলাইট৷

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আমেরিকা ইজরায়েল যেখানে বাজপাখির মতো নজর রাখে সেখানে এত বড় ভুলটা কি জেনে বুঝে করবে তেহেরান? ইউরাএশিয়ান টাইমসের তথ্য বলছে মার্চের ২১ তারিখের পরেই ইরানের হাতে আসতে পারে এসইউ-৩৫ ফাইটার জেট৷ তাহলে এখন কীভাবে এসইউ-৩৫ ফাইটার জেট আন্ডারগ্রাউন্ড এয়ারবেসের সামনে দাঁড়ানো থাকতে পারে? তাহলে এটাও কি পশ্চিমাদের উস্কানির আরেকটা খেলা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যিই হরমুজ প্রণালির কাছে ইরানের সিক্রেট ঈগল ৪৪ বেসক্যাম্প হয়ে থাকে তাহলে আমেরিকা আর ইজরায়েল হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না সেটাই বলাই যায়৷ তখন বোঝা যাবে দুধে কতটা জল মেশাচ্ছে পশ্চিমারা৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version