Adeno Virus: শিশুকে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে বাঁচাতে বাড়িতে কী করবেন? খাওয়ান বিশেষ খাবার

।। প্রথম কলকাতা ।।

Adeno Virus: করোনা (Corona) থেকে এখনো পর্যন্ত গোটা বিশ্বে রেহাই মেলেনি। ভারতে এখন করোনা সংক্রমণ কম, কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই। নতুন করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। কলকাতার (Kolkata) অবস্থা বেশ খারাপ। আইসিইউ বেড পাওয়া যাচ্ছে না। এক থেকে দেড় বছরের শিশুরা এই ছোঁয়াচে ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শহর থেকে জেলা, সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু বেডের অভাব। রবিবার পর্যন্ত এই ভাইরাসের জেরে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১ জন শিশুর। যদি দেখেন শিশু দীর্ঘদিন ধরে কাশছে, ঠান্ডা লেগেছে, ঘন ঘন জ্বর হচ্ছে তাহলে বিষয়টি একেবারেই হালকা ছলে নেবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শীতের শেষ বেলায় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু করোনার পর পরিস্থিতি বদলেছে। একের পর এক চেনা রোগ ধরা দিচ্ছে অচেনা রূপে। তাই বাড়িতেই শিশুর বিশেষভাবে যত্ন নিন। অ্যাডিনো ভাইরাস অ্যাটাক করার আগেই শিশুকে সাবধানে রাখুন।

অ্যাডিনো ভাইরাসের লক্ষণ

কিভাবে শিশুকে সাবধানে রাখবেন?

শিশুকে কী খাওয়াবেন?

এই সময় শিশুদের খাবারের তালিকার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর রাখুন। চেষ্টা করুন প্রতিদিনের খাবারের পাতে একটু তিতো রাখার। সেক্ষেত্রে নিমপাতা কিংবা উচ্ছে রাখতে পারেন। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, সয়াবিন, মসুর ডাল, ডিম এই ধরনের খাবার শিশুদের খাওয়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খাবারে ব্যবহার করতে হবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লবঙ্গ, দারুচিনি, কাঁচা হলুদের মত মসলা। খাবার হজমের সাহায্য করে টক দইয়ের ফার্মেন্টেড এনজাইম। এটি লিভারকে সুস্থ রাখে। যদি শিশু টক দই না খেতে চায় তার পরিবর্তে দুধ খাওয়াতে পারেন। খেয়াল রাখবেন শিশু শরীরে যেন কোনো ভাবেই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি না হয়। তাই পরিমিত পরিমাণে জল পান করানো উচিত। শিশুকে কি খাওয়াবেন আর কি খাওয়াবেন না, এই বিষয়ে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ আর ভাইরাল জ্বরের পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে ?

ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে দিন কয়েক পরেই শিশুরা সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু অ্যাডিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারে উল্টো। প্রায় ১৪ দিন পর্যন্ত জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কখনো বা তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ১০৪ কিংবা ১০৬ ডিগ্রিতে। যেখানে প্যারাসিটামল ব্যবহার করেও খুব একটা সুরাহা মেলে না। জ্বরের সাথে আসতে পারে তীব্র কাঁপুনি। পাশাপাশি রয়েছে ফুসফুস, চোখ আর পেটে ইনফেকশন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version