কানাডা বিবাদে দাম বাড়বে কোন জিনিসের ? বাণিজ্যে বড় কোপ ভারতের, কী ঘটবে ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারত কানাডা সম্পর্কে ফাটল। দাম বাড়বে জিনিসের ৪০ হাজার কোটির বিনিয়োগ চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিপুল লস হবে কার ভারত না কানাডার? এক বছরে কী পরিমাণ বাণিজ্য বেড়েছিল জানেন? দিল্লি ওটওয়া উত্তেজনায় পরপর আপডেট কিন্তু এই খবরই কার্যত চিন্তা বাড়াচ্ছে দুদেশের বণিকমহলে একটাই প্রশ্ন কূটনীতির এই জটিলতা বাণিজ্যে কত বড় এফেক্ট ফেলবে? জানেন ভারতের থেকে কী কী কেনে কানাডা? কানাডাই বা ভারতে কোন কোন স্পেশাল জিনিস রপ্তানি করে? দুদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড়সড় লিঙ্ক সেখানেও কি প্রভাব পড়বে?

ভারত ও কানাডার মধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে শক্তিশালী অংশীদারত্ব রয়েছে। দুই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০০টির বেশি শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা রয়েছে। কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ লাখ ১৯ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। ২০২১ সালে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা কানাডার অর্থনীতিতে ৪৯০ কোটি মার্কিন ডলারের অবদান রেখেছেন। কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যায় ভারতীয়রা সবার শীর্ষে রয়েছেন। বর্তমানে তাদের মধ্যেও কাজ করছে চাপা উত্তেজনা। ভারত কানাডায় ওষুধ, ফার্মা পণ্য, পোশাক, জৈব রাসায়নিক, লোহা, ইস্পাত, গয়না, বিভিন্ন পাথর এবং প্রকৌশলী সরঞ্জাম রপ্তানি করে। পাল্টা কানাডার থেকে ভারত কেনে ডাল, লোহার স্ক্র্যাপ, খনিজ, নিউজ প্রিন্ট, কাঠের শয্যা, বিভিন্ন শিল্প রাসায়নিক দ্রব্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দ্বন্দ্বের ফলে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ছেদ পড়লে স্বাভাবিকভাবেই এই পণ্যগুলির জোগান কমবে।

তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ সালে ভারত কানাডায় ৪.১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। ২০২১-২২ সালে ভারতে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে কানাডা। শুধু তাই নয় কানাডায় বর্তমানে ৩০টি ভারতীয় কোম্পানির ব্যবসা রয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০৪৪৬ কোটি টাকা। এমনকি অতি সম্প্রতি এই বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করার বিষয়েই চোখ রাখছিল ভারতীয় কোম্পানিগুলি। আইসিআইসিআই ব্যাংক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক, পেটিএম, জোমাটো, নাইকা, ডেলহিভেরি, উইপ্রো ইনফোসিসের মতো প্রতিষ্ঠানে কানাডার বিনিয়োগ রয়েছে কিন্তু সত্যি কি এই কূটনৈতিক জটিলতার জল বাণিজ্য সম্পর্ক অবধিও গড়াবে? পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা নেই বরং তারা ভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের সহপ্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব পিটিআইকে বলেন ‘এ কারণে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়তেই থাকবে প্রতিদিনের ঘটনা তাতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো উদাহরণ ভারত-চীনের সম্পর্ক। দুই দেশের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক থাকার পরও বাণিজ্য সম্পর্ক বেশ ভালো। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি দুই দেশই শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা থেকে লাভবান হচ্ছে। সুতরাং এই সম্পর্ক বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেই মনে করছেন তারা। বাকিটা সময় আর পরিস্থিতি বলবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version