বাংলাদেশে হচ্ছে টা কি? শেখ হাসিনা এতটা অখুশি কেন? বিএনপি শোধ নেবে!

।। প্রথম কলকাতা ।।

কি হচ্ছেটা কি বাংলাদেশে? তাবড় তাবড় রাষ্ট্রগুলোও থামাতে পারছে না দেশটার অন্তর্কলহ। এই বুঝি শুরু হল গৃহযুদ্ধ। ওদিকে তথ্য যাচাই না করেই শেখ হাসিনাকে চিঠি। অসন্তুষ্ট জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে। যে মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশে এত সমস্যা, সেই মানবাধিকার ধরে রাখতে পারছে কি দেশটা? অবরোধ কর্মসূচিতে এখনো অনড় বিএনপি। বাংলাদেশ আগাগোড়াই শান্তিপ্রিয় একটা দেশ। বন্ধুত্বের নীতিতে বিশ্বাসী। সেই দেশের মাটিতেই এখন হিংসার আগুন। অন্তর্দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। যেন গৃহযুদ্ধের পূর্ব প্রস্তুতি, তবে এমনটা কখনোই কাম্য নয়। নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলছে, তার সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচিত।।

অপর দিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলল বাংলাদেশ। জাতিসংঘ নাকি প্রভাবিত হচ্ছে, এমনটাই দাবি বাংলাদেশ সরকারের। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন ভলকার টার্কির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে একটা চিঠি লেখা হয়েছিল। সেই চিঠি নাকি লেখা হয়েছে সম্পূর্ণ তথ্য এবং তথ্যের যাচাই ছাড়াই। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। উপরন্তু জাতিসংঘকে পাল্টা চিঠিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের উপর বিএনপির হামলা নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করা উচিত। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার প্রচার থেকে সুরক্ষায়, জাতিসংঘের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে যুক্ত রয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকার আশা করে, সেই সহযোগিতা বজায় থাকবে।

জাতিসংঘের কথাকে বাংলাদেশ সরকার খুব একটা পাত্তা না দিলেও, বাংলাদেশে কিন্তু মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই যেন বাড়ছে রাজনৈতিক সহিংসতা, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার, বিক্ষোভ, আন্দোলন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া, ভয় দেখানো, বেআইনি ভাবে আটক রাখার অভিযোগ। এসবের মাঝে বিএনপি কিন্তু অবরোধ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত থেকে বিন্দুমাত্র সরেনি। উল্টে পঞ্চম দফার দুদিনের সর্বাত্মক অবরোধ ডেকেছে। স্বাভাবিক ভাবেই, দফায় দফায় এমন অবরোধে নাজেহাল বাংলাদেশের আমজনতা। বহু গাড়ি চালক ভয়ে রাস্তায় বেরোতে পারছেন না।

যুক্তরাষ্ট্র বারংবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে আসতে বলছে। না হলে হয়তো সুষ্ঠু কোন সমাধান নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলে দিয়েছেন, এখন আর সংলাপের কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের চিঠির পরেও পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হবে না বলেই মনে হয়। রাজনৈতিক দলগুলো এখনও নিজেদের পরস্পর বিরোধী অবস্থানেই অনড়। বিএনপি’র দাবি, সংলাপে বসতে বাধা নেই। কিন্তু তার জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। সোজা কোথায়, সরকারের পদত্যাগের দাবি মানা না হলে কোন ধরনের আলোচনায় তারা বসবে না। অপরদিকে আওয়ামী লীগের দাবি, কোন ধরনের শর্তের ভিত্তিতে তারা সংলাপে বসবে না। রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝেই ঘোষণা হয়ে গেছে দেশটার নির্বাচনের তফসিল। যা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি, জামায়েত ইসলামী।

বহু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে গেলে একমাত্র বিকল্প সংলাপ। এই মুহূর্তে সুষ্ঠু আলোচনাই পারে সহিংসতার আবহকে ঠেকাতে। আপনার কি মনে হয়? বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে আখেরে ক্ষতিটা কার? অবশ্যই সাধারণ মানুষের। রাজনৈতিক অশান্তির হূল ফুটছে আমজনতার গায়ে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version