ড্রাগন ফোর্সের শরীরে কোন খতরনাক সিস্টেম ? বাইডেনের হাতে সুপারপ্ল্যান, তীক্ষ্ণ নজরেই চীন গায়েব

।। প্রথম কলকাতা ।।

ড্রাগন সেনাদের শরীর খোকলা করে দিচ্ছে এই খতরনাক সিস্টেম। চীনের মাটিতে কিভাবে এই রোগ পুষেছেন শি জিং পিং? এতো এতো হীরে দিয়ে তাইওয়ান দ্বীপ কিনে নেবে চীন? উইকপয়েন্ট জানলেই গুপ্তধন পাবে বাইডেনের দেশ, রহস্যের দেশে এতো বড় ভুল লুকিয়ে রেখেছেন জিং পিং? জিং পিং এর সামর্থ্য শূন্য? বাইডেনের হাতে চীন গায়েবের সুপারপ্ল্যান? শত্রুদেশ এর একটা নজরেই ঘুরবে খেলা। তাইওয়ানের সামনে মূর্তিমান আতঙ্ক চীন। কিন্তু চীনের বুকে এত বড় উইক পয়েন্ট গোটা বিশ্বের নজর এড়িয়ে গেল? বাইডেনের একটা নজরে উল্টে যেতে পারে হিসেব। ধসে যেতে পারে, ড্রাগনের দেশ। কী সেই দুর্বলতা? চীনের অন্যতম দুর্বলতা সামরিক ত্রুটি। চীন কয়েক দশক ধরে তাদের সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণ করেছে এটা ঠিক, দেশটির ২০ লক্ষ সেনা রয়েছে। এর বার্ষিক সামরিক বাজেট ২২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির ১ হাজার নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড থাকবে। এতোকিছুর পরেও চীনের সেনাদের সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতা নেই।

এই সমস্যাকে চীনা প্রেসিডেন্ট ‘শান্তি রোগ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন না এখানেই শেষ নয়। চীন প্রযুক্তিতে উন্নতি সাধন করলেও এর সামরিক সরঞ্জামের অনেক কিছুই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমেরিকার সেমিকন্ডাক্টর ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত উপাদানের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা চীনকে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ক্ষেত্রেও চরম সীমায় পৌঁছাতে দিচ্ছেনা। এদিকে দুর্নীতির কথাও শোনা যাচ্ছে চীন সরকারের প্রশাসনে। কয়েকদিন আগেই এই অভিযোগে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শ্যাংফুকে বরখাস্ত করা হয়। আর চীনা ইকোনমির আসল রূপটা গোটা বিশ্বের জানতে বাকি নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক দুর্বলতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক দিয়েও চীন পিছিয়ে পড়ছে। বিদেশি বিনিয়োগ ও বেসরকারি বিনিয়োগের প্রতি চীন সরকার আগ্রহ না দেখানোয় এই সংকট আরও বাড়ছে। সঙ্গে বেকারত্ব, অতি বয়স্ক সমাজে পরিণত হওয়া মানে বুড়িয়ে যাওয়া। এসব সমস্যা রয়েছেই যাকে বলে একেবারে গোড়ায় গলদ। শি জিং পিং এর পরিকল্পনায় একের পর এক ভুল। সব মিলিয়ে চীন মোটেই ভাল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চীনের দিকে নজর দিলেও উইক পয়েন্ট নিয়ে আদৌ ভাবছে কি?

ভুল হচ্ছে, প্রতিপক্ষ মোকাবিলায় চীনের সংকটের এখানেই শেষ নয়। মনে রাখতে হবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক তথা একনায়ক শাসনব্যবস্থা চীনের জন্য খারাপ—এবং বিশ্বের জন্যও বিপজ্জনক। সঠিক পরামর্শের অভাবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি ভুল করতে পারেন, যেমন ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে করেছেন। ইউক্রেনের মতো করে চীন যদি শেষ পর্যন্ত তাইওয়ানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে শি নিজের ক্ষমতাও হারাতে পারেন। তাই তিনি ওই কাজ সহজে করতে চাইবেন না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা কিন্তু চীনের গোয়েন্দারা বলছে, একদম ভেতরের খবর ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ানে হামলা চালাবে চীন। তার জন্য ফোর্সকে তৈরি হতে বলেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশী দেশ ও ভারতের সঙ্গে বিরোধের কারণে সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে। চীনের আফ্রিকায় ঘাঁটি রয়েছে। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যেও ঘাঁটি করার চেষ্টা করছে। সবদিক থেকে চীন আরো বেশি পাওয়ারফুল হতে চাইছে। কিন্তু, কখনো চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেলে বেইজিং এর দুর্বলতা গুলো জানা থাকলে বাই ট্রেনের সুবিধা অনেক।

তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে আমেরিকার উচিত চীনের শক্তি ও দুর্বলতাকে আরও ভালোভাবে নজর দেওয়া। তবে, ইস্যু যদি তাইওয়ান হয় সেক্ষেত্রে তাইওয়ান স্বাধীনতার জন্য আমেরিকার উচিত চীনের সাথে নিউক্লিয়ার উইপনের কম্পিটিশন এড়িয়ে চলা। এ ক্ষেত্রে শক্তির দাপট দেখানোর বদলে চীনকে মোকাবিলায় নিজেদের সক্ষমতা সম্পর্কে আন্দাজ থাকা দরকার ওয়াশিংটনের। এটা ছাড়া, প্রেসিডেন্ট শি জিং পিংয়ের দুর্বলতা আমেরিকা সহ পশ্চিমাদের সুযোগ করে দিচ্ছে সঠিক পথে চীনকে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে। চিনতে টেক্কা দেওয়ার অনেক সুযোগ পশ্চিমা বিশ্বের হাতে।আগামী বছর চীন আমেরিকার সম্পর্কের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে পারে চীন সমর্থিত প্রার্থী। তখন চীন যুক্তরাষ্ট্র ফেস টু ফেস হলে কি ঘটতে পারে? পশ্চিমা শক্তিকে মোকাবিলায় চীনের সামর্থ্য কতটুকু সেটা গোটা বিশ্বের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেদিকেই নজর গোটা বিশ্বের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version