কানাডা ভারতের সঙ্গে কী করে পারবে ? ট্রুডো ভুল করছেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

কানাডার কপালে চরম দুঃখ, বিপদ বাড়ছে। সুযোগ বুঝেই কি ভারতকে অয়েলিং করা শুরু আমেরিকার? ‘পিঁপড়ে কানাডা ভারতের মতো হাতির সঙ্গে লড়ছে’। দু’দিন পেরোতেই ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুক্তরাষ্ট্র। কানাডা কিন্তু বড় ভুল করে ফেলল। আমেরিকাও সরছে, ট্রুডোর লড়াই কঠিন হবে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ভারত কানাডা সম্পর্কের ফাটল চওড়া হচ্ছে। কানাডার হয়ে ভারতকে বচন শুনিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। ট্রুডোর হয়ে পাল্লা ভারী করতে আসরে নেমেছেন বাইডেন।

প্রথমে, আমেরিকা বিতর্ক আরো উসকে দিয়েছে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এবার কি ইক্যুয়েশন বদলাচ্ছে? এবার ভারতের সাইড নিয়ে বড় কথা বলে দিল আমেরিকা। পেন্টাগনের প্রাক্তন অফিসার মাইকেল রুবিন বলছেন, কানাডা যে অভিযোগ তুলেছে, তা ‘হাতির সঙ্গে যুদ্ধের চেষ্টা পিঁপড়ের’। বিষয়টা অনেকটা এরকম তারপরেই বলেছেন, ভারত-কানাডার মধ্যে যদি কোনও একটি দেশকে বেছে নিতে বলা হয়, তবে আমেরিকা ভারতকেই বেছে নেবে। বিষয়টা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বলেছে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র। যা কানাডার চেয়ে স্ট্র্যাটেজিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষত, টেনশন বাড়ছে চিন ও ভারত মহাসাগর, প্যাসিফিক এলাক নিয়ে,
যা কানাডার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।

ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরেছে খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। কানাডার অভিযোগ, মারাত্মক। ভারত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কানাডার সর্বনাশ দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, “জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারতের তুলনায় কানাডারই বেশি বিপদ”। ভারত কানাডার মাঝে পরিস্থিতি কিন্তু মোটেই সুবিধার নয়। তার জন্যই কি সেফ সাইড খেলতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র? নাহলে পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো খুব বড় ভুল করেছেন। তিনি যে অভিযোগ এনেছেন তা প্রত্যাহারের আর সুযোগ নেই। উনি যে অভিযোগ এনেছেন, তার সপক্ষে প্রমাণ নেই। যদি কানাডায় কিছু হয়ে থাকে, তবে ওনাকে এই ব্যাখ্যাটাও দিতে হবে যে কেন একজন জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্রও মানতে শুরু করেছে বুঝে গেছে যে হার্দিক সিং নিজের একজন খালিস্তানি জঙ্গির বেশি আর কিচ্ছু নয়। তাই, আমেরিকা ভারতকে বেঁচে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে ক্ষেত্রে আমেরিকা কানাডা সম্পর্কের পরিণতি কি হবে? জাস্টিন ট্রুডোর কম অ্যাপ্রুভাল রেটিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, “বেশিদিন আর ওনার প্রধানমন্ত্রিত্ব নেই। ওঁ চলে যাওয়ার পর আমেরিকা আবার কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে নিতে পারবে”। আর, ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বে প্রাক্তন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্তার এই বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরেই জোর জল্পনা শুরু।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version