Russia Ukraine: পুতিনের এই শর্তে যুদ্ধ থামার চান্স কতটা? তলে তলে ছক কষছে ইউক্রেন! হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Russia Ukraine: যুদ্ধ শেষ হওয়া না হওয়া সত্যিই কি নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর? বড় কথা বলে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধ বন্ধে দিলেন বড় শর্ত। কিন্তু, পুতিনের শর্তে কি আদৌ রাজি হবে প্রতিপক্ষরা? এর আগে যুদ্ধ বন্ধে পুতিন ইউক্রেনকে কোন কোন শর্ত দিয়েছিলেন? পরিস্থিতি এগোচ্ছে কোন দিকে? রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধই কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হতে চলেছে? সময় থাকতেই নিতে হবে ব্যবস্থা, না হলে রিস্কে পড়বে গোটা বিশ্ব। কি বলছেন বিশ্লেষকরা? ফের যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে বন্দুক রেখে চালাতে চাইছে রাশিয়া। যদি পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলেই কেল্লাফতে।

হ্যাঁ, মানে এটা হলেই একমাত্র আলোচনায় বসতে রাজি রাশিয়া। ক্রেমলিনে এক বিশেষ বৈঠকে এ কথা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বলেছেন যুদ্ধের ভয়াবহতা শেষ হওয়া নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। যুদ্ধ অবিলম্বে থেমে যাবে যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে। বিশ্লেষ শব্দের মতে এটা পরিষ্কার যে ইউক্রেনকে দুর্বল করতে চাইছে রাশিয়া। পুতিন বলছেন, তারা যদি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায়, তাহলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। কারণ এটা কে না জানে যে পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্রের কারণেই এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে ইউক্রেন। তাই, ইউক্রেনের পাশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরানোর সবরকম প্ল্যান ছঁকে চলেছেন পুতিন। পুতিনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে হারতে দেখতে চায় এবং ইউক্রেনীয়দের সাম্প্রতিক আক্রমণে তারা সাফল্য দেখতে পাচ্ছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে এমন অনেকেই আছে, যারা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখতে চায় না। কিন্তু এটা চলতে থাকলে এমন এক যুদ্ধ হবে, যেখানে কোনো দল জয়ী হবে না। তাহলে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হতে পারে? কোথাও কি সেই ইঙ্গিত করতে চাইছেন ভ্লাদিমির পুতিন? বিশ্লেষকরা কি বলছেন, তাদের কি মত?

আলোচনার মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান সম্ভব হলেও কেউই বাস্তবিক অর্থে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে, রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান কবে হবে তা জানা নেই। তবে, এটা পরিষ্কার প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষা করে যেকোনো আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। আর, রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষার সবচেয়ে কার্যকর কৌশল কূটনৈতিক আলোচনা এগিয়ে নিয়ে চলা। সেক্ষেত্রে এই আলোচনা কঠিন হতে পারে, কিন্তু তারপরেও আলোচনার দিকেই হাঁটতে চাইছেন পুতিন। মনে করে দেখুন এর আগেও, ইউক্রেনকে কিছু শর্ত দিয়েছিল রাশিয়া। বলা হয়েছিল সেগুলো মানলে যুদ্ধ বন্ধ করবে রাশিয়া। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইউক্রেন ন্যাটো জোট কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে পারবে না। তাছাড়া, ইউক্রেনকে ‘নিরপেক্ষ’ থাকতে হবে এবং ‘নয়া ভৌগলিক বাস্তবতা’ মেনে নিতে হবে। ইউক্রেনে রুশ ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে হবে এমনকি, এই শর্তের কথা তুলে ধরেছিলেন পুতিন। বলেছিলেন ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলো সমরাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিলে একটা শান্তি চুক্তি সম্ভব।

অতএব, এই জায়গাটা ভীষণ পরিষ্কার যে পুতিন বরাবরই চেয়ে আসছেন ইউক্রেনের পাশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাক। আর, ‘নয়া ভৌগলিক বাস্তবতা’ বলতে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা মেনে নেওয়ার কথা বুঝিয়েছেন। সেক্ষেত্রে, ইউক্রেন যদি পুতিনের দেওয়া সব শর্ত মেনে নেয় তাহলে কোথাও গিয়ে রাশিয়ারই স্বার্থ রক্ষা হবে। তবে বুঝতে হবে পুতিন এই শর্ত কখন দিলেন। যখন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন, ‘রাশিয়া যদি তাদের আগে ঘোষণা করা বিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষ্য পরিবর্তন করে, তাহলে ইউক্রেন সমঝোতা ও শান্তি চুক্তির জন্য প্রস্তুত’। এটা বুঝতে হবে, জেলেনস্কি প্রকাশ্যে রুশদের সঙ্গে চুক্তির কথা বলতে পারেন না। সেটা করলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যাবে এবং নিজের দেশে তাঁর অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে পুতিনের দেওয়া শর্তের পরে যে প্রশ্নটা উঠে আসছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কি তাঁর বিবৃতির মধ্য দিয়ে এটা বলতে চেয়েছেন, রুশরা যদি আগ বাড়িয়ে সমঝোতার পথে আসতে চায়, তাহলে তাদের উদ্দেশ্য পরিবর্তন করতে হবে? অথবা ইউক্রেন কি তাদের দিক থেকে আগ বাড়িয়ে একটা চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য রুশদের বিশেষ সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য পরিবর্তনের কথা বলছে? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঠিক কি বলতে চেয়েছেন সেটা বুঝতে চেষ্টা করেই পুতিন এই শর্ত রাখলেন না তো? সময়ের সাথে সাথে স্পষ্ট হয়ে যাবে চিত্রটা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version