।। প্রথম কলকাতা ।।
বিয়ের কেনাকাটা সত্যিই বেশ বড় দায়িত্বের একটা সঠিক তালিকা তৈরি করে এবং খরচের দিকে নজর রেখে কেনাকাটা করা উচিত। অল্প দামে যদি কিছু চোখ ধাঁধানো শাড়ি পাওয়া যায় তবে তা কেনা নিতে চাইবেন। আবার এটাও ঠিক টাকা খরচ বাচানোর চক্করে নিম্নমানের শাড়ি কিনলে কিন্তু চলবে না। এক্ষেত্রে আমাদের বলে দেওয়া কয়েকটা টিপস মাথায় দেখে শপিং সারুন। বিয়ে নিয়ে সকলের মনেই অনেক রকম স্বপ্ন থাকে। বিয়ের দিনের সাজ, কেমন রঙের বেনারসি হবে, আিবুড়োভাত, গায়েহলুদ, প্রি ওয়েডিং শ্যুট, রিসেপশনে কেমন শাড়ি হবে এই নিয়ে প্ল্যানিং চলতেই থাকে। কেউ যেমন পছন্দের অভিনেত্রীদের মত সাজতে চান তেমনই কেউ পছন্দ করেন সাবেকি সাজ। ইনস্টাগ্রামে খোঁজ চলতেই থাকে। আর যদি পছন্দ মতো ব্লাউজ, ওড়না এসব পরতে চান তাহলে এখন থেকেই কেনাকাটি শুরু করুন। এরপর পুজোর মার্কেট শুরু হয়ে যাবে তখন আর বিয়ের শাড়ি তেমন পাবেন না।
এই বছর পুজোর মরশুম কাটতে না কাটতেই বিয়ে। কালীপুজো আর ভাইফেঁটার পর বিয়ের মরশুম শুরু হতে হাতে পাঁচটা দিনও থাকবে না। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে তো? পছন্দের শাড়ি কিনে ব্লাউজ বানাতে দিয়ে আসুন। আইবুড়োভাত, গায়েহলুদ এসবে ট্র্যাডিশন্যাল শাড়িই পছন্দ করেন বেশিরভাগ। আইবুড়োভাতে যদি ট্র্যাডিশন্যাল সিল্ক পরেন অর্থাৎ ইক্কত, গাদোয়াল, পশমিনা, পচমপল্লী, পাটেলা, চান্দেরি, ব্যোমকাই এসব পরতে চান তাহলে সোজা আসুন দক্ষিণাপনে। ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ি এখানে খুবই ভাল পাবেন। এছাড়াও পার্ক স্ট্রিটে বেশ কিছু শাড়ির দোকান রয়েছে। যেখান থেকেও পছন্দমতো শাড়ি পেয়ে যাবেন আপনি।
বড়বাজার বা গড়িয়াহাটের যে কোনও দোকান থেকে কিনতে পারেন। তবে ৫০০ টাকার বেশি খরচ করবেন না এক্ষেত্রে। বিয়ের বেনারসি সব মেয়ের কাছেই খুব স্পেশ্যাল। আর তাই এই শাড়ি কিনতে যাওয়ার সময় নিজের পছন্দই মাথায় রাখুন। বেনারসি ট্র্যাডিশন্যালই দেখতে ভাল লাগে। গড়িয়াহাটে বেনারসির প্রচুর দোকান রয়েছে। যেমন রঙের শাড়ি, যেমন ডিজাইন পছন্দ তেমনই বেছে নিন নিজের জন্য। বড়বাজার থেকে বিয়ের বেনারসি না কেনাই ভাল। এতে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। রিসেপশনে শাড়ি নাকি লেহঙ্গা পরবেন তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। রিসেপশনের শাড়ি কিনতে পার্ক স্ট্রিটের দোকান গুলিতে একবার ঢুঁ মারুন। পছন্দের বুটিক বা ডিজাইনারদের কাছেও দেখতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম