ভারতে টাকা ঢালছে যুক্তরাষ্ট্র, জি ২০-র পর ইকুয়েশন বদলাচ্ছে, চীনকে বড় ধাক্কা

।। প্রথম কলকাতা ।।

বড় লস চীনের, সোনায় সোহাগা ভারত! চীনের উপর থেকে ইন্টারেস্ট হারাচ্ছে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র। তরতরিয়ে ইনভেস্ট বাড়ছে ভারতে। না, ভারত কোনও ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে না, গ্রাউন্ড রিপোর্ট কিন্তু চাপের। জিংপিংয়ের জেদেই কী চীনে রীতিমত বিভিষিকা ? জানেন বেজিং এর ভুলটা কোথায়? কী ঘটছে চীনে, জানাটা আপনার দরকার। বড় ট্র্যাপে পড়ে গেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছে অন্যান্য দেশকে। উদীয়মান বাজারগুলোকে বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের পছন্দের তালিকায় ভিয়েতনাম, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া থাকলেও বেশি প্রায়োরিটি পাচ্ছে ভারত। একটা সমস্যা মিটতে না মিটতেই আরো একটা সমস্যা, মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে চীনে। কিন্তু, কেন? কোন ভুলে পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান গুলোর ইন্টারেস্ট কমছে চীনের প্রতি?

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চীনের বাণিজ্যিক পরিবেশ, ধীর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার গতি এবং ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন দেশটার জন্য সমস্যা হয়ে উঠছে। আর যে দেশকে নিয়ে চীনের এতো গাত্রদাহ সেই ভারতই কিনা বলে বলে টেক্কা দিচ্ছে বেজিং কে। কিরকম? একটু হিসেবটা বুঝিয়ে দিই? ২০২১ ও ২০২২ সালের মধ্যে বিপুলসংখ্যক বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে ভারতে। ইউরোপীয় ও মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি। সেখানে গত বছর চীনের বিদেশী বিনিয়োগ নেমে এসেছে ২ হাজার কোটি ডলারে। অথচ দেশটিতে ২০১৮ সালেও বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার কোটি ডলার। এতেই তো পরিষ্কার, চীনের গ্রাফ কিভাবে নামছে।

আসলে, উৎপাদনে খরচ কম দেখে গত শতকের আশির দশকে চীনে ইনভেস্ট করতে আগ্রহী হয় বিদেশী সংস্থাগুলো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চীনে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। চাহিদা কমেছে মানুষের! ফলে চীনের বাজার তার আগের জৌলুস হারাতে বসেছে কিন্তু শি জিংপিং হাল ছাড়তে নারাজ। বিদেশী ইনভেস্ট টানার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। তবে কোভিড-পরবর্তী সময়ে চীনের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টান পড়েছে। আবাসন খাতের সংকট, মুদ্রাসংকোচন বা ডিফ্লেশনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য ইনভেস্টারদের আকৃষ্ট করতে পারছে না বেজিং। তবুও পশ্চিমা কোম্পানিগুলো এখনো নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে চীনের ওপর নির্ভরশীল। ইলেকট্রনিকস ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো পণ্যের জন্য। তবে, সেমিকন্ডাক্টরকে কেন্দ্র করে ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন বেড়েছে। পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলো এই কারণেই চীনের ওপর একচেটিয়া নির্ভরতা কমাতে চাইছে। তারা বিকল্প পথ খুঁজছে।সেখানেও ভারতের জন্য বড় সুযোগ থাকছে। আর, চীনের ওপর এতবড় সংকট সত্ত্বেও সেখানকার সরকার কী করছে? তথ্য বলছে জিনপিং সরকারের দাবি এখনও পরিস্থিতি তাদের কন্ট্রোলেই আছে এবার দেখার দিন যত এগোয় পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version