NATO: ন্যাটোতে যোগ দেবে ইউক্রেন, ভয়ে রাশিয়া! ঘুরে যাবে যুদ্ধের মোড়

।। প্রথম কলকাতা ।।

NATO: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) বদলে দিয়েছে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক সমীকরণ। ন্যাটো (NATO) জোট বারংবার ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। অপরদিকে ন্যাটোর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে রাশিয়ার। বারংবার ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হলেও তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। যদি ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেয় তাহলে তা রাশিয়ার পক্ষে ভালো হবে না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ন্যাটো জোটের সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টলটেনবার্গ (NATO Secretary-General Jens Stoltenberg) ইউক্রেনকে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শর্তের কথা বলেন। ২০০৮ সালে ন্যাটো সম্মত হয়েছিল যে ইউক্রেন এই জোটের সদস্য হবে। কিন্তু ন্যাটো দীর্ঘদিন ধরে বলে এসেছে, এই জোটে যোগদান করতে গেলে দেশটিকে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক বা জাতিগত বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে হবে।

ন্যাটোর কাছাকাছি উপস্থিতি নিয়ে রাশিয়া বরাবরই ক্ষুব্ধ। কিন্তু এখন ন্যাটো মহাসচিব বিবৃতি দিয়ে রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, একদিন ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে। উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থার (ন্যাটো) মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেন ন্যাটো সংস্থায় যোগদানের যোগ্য। গত বছর রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউক্রেনে তার প্রথম সফরের সময় দেশটিকে অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্টলটেনবার্গকে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান, কামান এবং সাঁজোয়া সরঞ্জাম সহ আরও সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের জন্য ন্যাটো সদস্যদের সমর্থন জোগাড় করতে স্টলটেনবার্গ মূল ভূমিকা পালন করেছেন।

২০০৮ সালে ন্যাটো নেতারা বলেছিলেন যে ইউক্রেন একদিন এই সংস্থায় যোগ দেবে, যা স্টলটেনবার্গ পুনর্ব্যক্ত করেন। যদিও সংস্থাটি ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়ার জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি। সংবাদ সম্মেলনে স্টলটেনবার্গ বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে ইউরো-আটলান্টিক পরিবারে ইউক্রেনের একটি সঠিক স্থান রয়েছে। ইউক্রেনের ন্যাটোতে একটি সঠিক স্থান রয়েছে”। স্টলটেনবার্গ বলেছেন যে তিনি এবং জেলেনস্কি সাহায্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ন্যাটো আজ, আগামীকাল এবং সর্বদা ইউক্রেনের সাথে আছে। গত বছর রাশিয়ার আগ্রাসনের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেন সফর করছেন ন্যাটোর মহাসচিব। এদিকে রাশিয়া সতর্ক করে দিয়েছে যে ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয়। রুশ সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত রাখা রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় পেসকভ বলেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

ন্যাটো নিয়ে চিন্তিত রাশিয়া

রাশিয়া যুদ্ধের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আশেপাশের দেশগুলো ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার আশঙ্কা, ইউক্রেনও ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে। ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নকে দমন করার জন্য। ন্যাটো পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মাসের শুরুতে ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদানের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। ৩১টি দেশের এই সংস্থাটি শুধুমাত্র ইউক্রেনীয় সরকারকে জেনারেটর, চিকিৎসা সরঞ্জাম, সামরিক ইউনিফর্ম বা অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করে। এবার শুধু দেখার, যদি ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান করে তাহলে পরিস্থিতি কতটা বদলায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version