।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia-Ukraine War: বাখমুত এখন কিলিং জোন। রাশিয়া (Russia) টার্গেট করছে বাখমুতকে। অপরদিকে ইউক্রেন (Ukraine) সমানভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়াকে রুখে দেওয়ার জন্য। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী, একদিনে বাখমুত যুদ্ধে (War) নিহত হয়েছে প্রায় ৫০০ রুশ সেনা। রুশ বাহিনী গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চলের বাখমুত দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
গত এক বছর ধরে চলা ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে না রাশিয়া জিতেছে, না ইউক্রেন হেরেছে। এই যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা দেশগুলির কাছে কোণঠাসা হয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে সহযোগিতা পেয়েছে ইউক্রেন। বাখমুতের একজন সাময়িক মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি জানান, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া ওই স্থানে প্রায় ৪০ টি হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৩টি। এই যুদ্ধ চলাকালীন নিহত হয়েছে প্রায় ২২১ জন শত্রু, আহত হয়েছেন প্রায় ৩১৪ জন। বাখমুতের সঙ্গে কোথাও গিয়ে যেন জড়িয়ে রয়েছে রাশিয়ার প্রেস্টিজ। এক্ষেত্রে মস্কো মনে করছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি ছিদ্র হতে পারে বাখমুত। যদি একবার এই অঞ্চল দখল হয়ে যায় তাহলে যুদ্ধে তারা একধাপ এগিয়ে যাবে। গত এক বছরের যুদ্ধে উভয় দেশের হাজার হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছে, কিন্তু লড়াইয়ের সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনে। এখন দেশটি পাল্টা হামলা করতে শিখে গেছে। তারা এই যুদ্ধে সম্প্রতি ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক রুশ সেনা হত্যা করেছে।
রাশিয়া গত কয়েক মাস ধরে বাখমুত দখলের চেষ্টা চালালেও, সেভাবে সফলতা লাভ করতে পারেনি। উপরন্তু ইউক্রেন এখন পাল্টা আক্রমণ করছে। যার কারণে এই যুদ্ধের শেষ কোথায় তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বাখমুতে যে সংঘর্ষ হচ্ছে, এক্ষেত্রে উভয় দেশেই ভারী ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে, তবে মৃত এবং আহতদের সঠিক তথ্য সেভাবে স্পষ্ট করতে চাইছে না।
বাখমুতকে নিয়ে এত টানাটানি কেন?
ইউক্রেন কেন বাখমুত শহরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণের রাখতে চাইছে তার পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে। শুধুমাত্র বাখমুত শহরকে কেন্দ্র করেই প্রতিদিন বহু সেনা হতাহত হচ্ছে। লড়াই এখন পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই শহরে তিন দিক থেকে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, বাখমুত আঁকড়ে ধরার নেপথ্যে কাজ করছে রাজনৈতিক বিষয়। এখানে কার্যকর কোন কারণ নেই। সেই গত বছর থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী বারংবার চেয়েছে বাখমুত যেন তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এত প্রাণহানির পর যদি শেষ পর্যন্ত এই শহর থেকে ইউক্রেনের সেনা পিছু হটে তাহলে রাজনৈতিক দিক থেকে দেশটি বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম, সিএনএন এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, বাখমুত শহর এমন একটি স্থান সেখান থেকে যদি ইউক্রেনীয় সেনারা পিছু হটে যায় তাহলে বেশ কয়েকটি শহর রুশ হামলার মুখে পড়তে পারে। অপরদিকে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছে, এত প্রাণহানির পর যদি ইউক্রেন পিছু হটে তাহলে মুখ লুকানোর জায়গা পাবে না। পিছু হটার সমস্ত দিক থাকলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ইউক্রেন এই জায়গাটিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। তারা রুশ বাহিনীকে এই জায়গায় আটকে তাদেরকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম