DA Case Hearing: ডিএ মামলা থেকে সরলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি, শুনানি হবে নতুন বেঞ্চে

।। প্রথম কলকাতা ।।

DA Case Hearing: সুপ্রিম কোর্টে ফের একবার পিছিয়ে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা। ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সদ্য নিযুক্ত বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত জানিয়ে দেন, এই মামলা তিনি শুনবেন না। তাই নতুন বেঞ্চে শুনানি হবে এই মামলার। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ এর জানুয়ারিতেই পুনরায় এই মামলার শুনানি হবে এমনটাই জানা গিয়েছে।

বোম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হওয়ার পরেই রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি তাঁর বেঞ্চে হবে বলে জানা যায়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলা চলছিল বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপ্রতি দীনেশ মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে। তবে বেঞ্চে বদল ঘটার কারণে এদিনের শুনানিতে থাকার কথা ছিল দুই বাঙালি বিচারপতির। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে জানান, তিনি এই মামলাতে আসায় কর্মীদের একাংশের মধ্যে অতি উৎসাহ তৈরি হয়েছে। কাজেই এই মামলা না শোনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

বিষয়টিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি দত্ত। একই সঙ্গে জানান, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে নতুন বেঞ্চ গঠন করা হবে। আর সেই বেঞ্চেই এই মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতায় ফারাক ছিল প্রায় ৩৪ শতাংশ। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী ওই ৩৪ শতাংশ ফারাকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয় সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া দিয়ে তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার।

আদালতের এই নির্দেশের পর রাজ্য সরকার পুনরায় বিবেচনা করার আর্জি জানায়। কিন্তু আদালত তা ২২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দেয়। এরপর রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় ৪ নভেম্বর। সুপ্রিম কোর্টে চলতি মাসের ৫ তারিখে সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সেদিন জানানো হয় রাজ্যের দায়ের করা ডিএ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজ। তবে আজও সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি।

তথ্যসূত্র: এবিপি

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version