তুরস্কের ব্রহ্মাস্ত্র পাকিস্তানের হাতে, প্যালপিটিশন বাড়ছে ভারতের। নির্ভুল নিশানা মানেই বায়রাক্তার টিবি-টু, ডিমান্ড জানেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের টেনশন বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের তুর্কি ড্রোন।
কি আছে এতে? বিধ্বংসী এই অস্ত্র কিনতে কেন‌ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে গোটা বিশ্ব? ড্রোন থেকে ছুটল ক্রুজ মিসাইল, বড় সাক্সেস তুরস্কের। তুরস্কের বায়রাক্তার টিবি-টু সম্পর্কে কতটা জানেন আপনারা? কারা তৈরি করে বায়রাক্টার টিবি-টু? ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা এই বিশেষ ক্রুজ মিসাইল এর বৈশিষ্ট্য কী? পাকিস্তান ও তুরস্কের পুরোনো বন্ধুত্বের ফল ভুগতে হবে ভারতকে? কেন এই ড্রোনের প্রতি বিশ্বের সামরিক বাহিনীগুলোর আগ্রহ বাড়ছে? তুখোর পাওয়ার সম্পন্ন বায়রাক্তার টিবি-টু ঘুরিয়ে দিতে পারে গেম। এই ড্রোনের একটা উইক পয়েন্টই ভারতের কাছে মোক্ষম অস্ত্র। বায়রাক্তার টিবি-টু এর ক্ষমতা মারাত্মক। বিশ্বের বেশ কয়েকটা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে এই তুর্কি ড্রোন। বিশেষ করে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রীতিমতো খেল দেখিয়েছে বায়রাক্তার টিবি-টু। এবার সেই বায়রাক্তার টিবি-টু দেখাল অন্য চমক।

ড্রোনের ইতিহাসে এটা অবশ্যই বড় সাক্সেস। অলরেডি তুরস্ক নতুন কেমাঙ্কেস ক্রুজ মিসাইল সফলভাবে এই ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করেছে। এখনও পর্যন্ত কোনো দেশই কিন্তু ড্রোন থেকে ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেনি। জানিয়ে রাখি, এটা থেকে আরও অনেক ধরণের অস্ত্র নিক্ষেপ করা যায়। এটা এমন এক ধরনের যুদ্ধাস্ত্র যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি এবং হামলায় অংশ নিতে পারে। এই ড্রোনে একটা অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা আছে। তার সাথে আছে ডাটা-লিংক সিস্টেম এবং দু থেকে চারটে পর্যন্ত বিস্ফোরক – যা প্রিসিশন-গাইডেড অর্থাৎ উড়ে গিয়ে নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।

এর ফলে এটা দিয়ে আগে থেকে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা যায়, এবং তার পর দিক-নির্ণয় করে চলতে সক্ষম বোমা দিয়ে তাদের ওপর আঘাত হানা যায়।
এটা জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি কারণ, মূল কমান্ড সেন্টার থেকে দূরে কোথাও একটি কন্টেইনার বা ট্রাকে মোবাইল বেজ স্থাপন করে সহজে এটা পরিচালনা করা যায়। ফলে মিশনের প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে নিয়ে গিয়ে ড্রোন উড়িয়ে হামলা চালানো যায়। ২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের সেনা বাহিনী ও ন্যাশনাল পুলিশ এই ড্রোন ব্যবহার করছে।

এর বিপুল চাহিদা রয়েছে। তুরস্কের Bayraktar TB2 ড্রোনের অনুমানিক মূল্য ২ মিলিয়ন ডলার। এটি তুরস্কের Baykar Defence Company তৈরি করে। কোম্পানিটির মালিকানা রয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের জামাইয়ের পরিবারের কাছে। অন্যদিকে, কেমাঙ্কেস ক্রুজ মিসাইল শত্রুর ভূখণ্ডে প্রবেশ না করেই শত্রুকে আক্রমণ করার মতো করেই ডিজাইন করা হয়েছে। এই ক্রুজ মিসাইল বায়রাক্তার টিবি-থ্রি এবং আকিনচি ড্রোন থেকেও উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এই ড্রোন লঞ্চ মিনি ক্রুজ মিসাইলটির ওজন প্রায় ৩০ কেজি। যার মধ্যে ৬ কেজির ওয়ারহেড রয়েছে। এর গোলাবারুদের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ১৭০ সেন্টিমিটারের একটু বেশি। এই মিনি ক্রুজ মিসাইলটিতে একটা টার্বো জেট ইঞ্জিন লাগানো আছে, যা প্রতি ঘণ্টায় ৭২০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। ২০০ কিমি রেঞ্জ পর্যন্ত আক্রমণ চালাতে সক্ষম। মিসাইলটিতে একটি অপটিক্যাল গাইডেন্স সিস্টেম লাগানো হয়েছে।

আর এই তুখোর পাওয়ার সম্পন্ন তুর্কি ড্রোনের জন্যই ভারতের উদ্বেগ বেড়ে চলেছে। কারণ, পাকিস্তান ও তুরস্কের বন্ধুত্বের বিষয়টি সকলের জানা। এমনকি, তুরস্ক কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে। এমন পরিস্থিতিতে টেনশন বাড়ানোর মতো খবর হলো, তুরস্কের Bayraktar TB2 পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে রয়েছে। গত বছরের মে মাসে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর মুরিদ ঘাঁটিতে তুরস্কের Bayraktar TB2 ড্রোন দেখা গিয়েছিল। ওই ঘাঁটি পাকিস্তানি পাঞ্জাবের চকওয়াল জেলায় অবস্থিত। মুরিদ এয়ারবেস থেকে অমৃতসরের দূরত্ব মাত্র ২৪৩ কিমি এবং শ্রীনগরের দূরত্ব হল ২২৮ কিমি। এমতাবস্থায় তুরস্ক তার পরম বন্ধু পাকিস্তানকে ক্রুজ মিসাইলও দিতে পারে। সেক্ষেত্রে, পাকিস্তানের এই তুর্কি ড্রোন ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় পর্যবেক্ষণ চালাতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। উইকপয়েন্ট একটাই এগুলো আকারে বড় আর তুলনামূলক গতি কম, ফলে এগুলো গুলি করে নামানো সহজ। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা এরকম বেশ কিছু বায়রাক্টার ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ বাহিনী। যেটা ভারতের জন্য অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version