।। প্রথম কলকাতা ।।
জাস্টিন ট্রুডো ভয় পেয়ে গেলেন নাকি? ভারতের প্রশংসা হঠাৎ কানাডার প্রধানমন্ত্রী করছেন? পাকিস্তান অবাক নিউইয়র্কে বসে জয়শঙ্কর কীভাবে ঘুরিয়ে দিলেন খেলা আমেরিকা ট্রুডোকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভেঙে দিল। জাস্টিন ট্রুডো নিজের অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছেন? যে ভারতকে এতদিন লাগাতার অভিযোগের ওপর অভিযোগে বিদ্ধ করছিলেন ট্রুডো সেই ট্রুডোর মুখে ভারতের প্রশংসা! পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র তাহলে ফেল হয়ে গেল বলা যেতে পারে? খালিস্তানি নেতা নিজ্জরের মৃত্যুতে কী পেয়েছে কানাডা ভারতকে নিয়ে কোনও লিড বা প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে কিনা এখন সে বিষয়ে কোনও কনফারমেশন পাওয়া যায়নি কিন্তু ট্রুডোর মুখে এ পরিস্থিতিতে ভারতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার অন্য ইঙ্গিতই দিচ্ছে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর ও যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কনের মিটিংয়ে কানাডার প্রসঙ্গে কোন কোন পয়েন্ট তুলে ধরা হল? এই তথ্য আপনাদের দেব কিন্তু আগে জানুন ট্রুডো কী বললেন, মন্ট্রিলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডোকে বলতে শোনা যায়, “ভারত এক ক্রমবর্ধমান আর্থিক শক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক খেলোয়াড় গত বছরে হওয়া ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবেই আমরা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করার বিষয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস।” কূটনৈতিক মহল বলছে সত্যিই যদি এতটা সিরিয়াস হত কানাডা তাহলে হাতে উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই কীভাবে এত বড় অভিযোগের বোঝা ভারতের ওপর চাপাতে পারল? নাকি এখন প্যাঁচে পড়ে আসলে মোড় ঘোরাতে চাইছেন ট্রুডো একেই রাশিয়ার কাছে জব্দ হয়ে ক্ষমা চাইছে হয়েছে তাঁকে এবার কী আমেরিকা কোনওভাবে চাপ দিল ট্রুডোকে ভারতের বিরুদ্ধে আলটপকা মন্তব্য না করার?
কূটনৈতিক এই অঙ্ক কিন্তু প্রতিদিনই আরও সিরিয়াস জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। যেমনটা ভাবা হয়েছিল সেরকমই জয়শঙ্কর ও ব্লিঙ্কনের বৈঠকে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হল না কানাডা ইস্যুকে। জল্পনা ছিল এই বৈঠকে হয়ত নিজ্জর ইস্যু উত্থাপন করতে পারে আমেরিকা। তবে ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক টানাপোড়েন যাতে শুরু না হয় সেদিকে নজর রেখেই মনে হয় জয়শংকরের সঙ্গে নিজ্জর ইস্যুতে কথাই বলেননি ব্লিঙ্কেন। বৈঠক শেষে জানা গিয়েছে ভারত-কানাডা বিরোধ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে সেভাবে কোন আলোচনাই হয়নি তার বদলে জি ২০ সম্মেলনের সাফল্য রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন সহ ভারত মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির মতো বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারত যেভাবে নিউইয়র্কে কানাডাকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশয় দেওয়ার ইস্যুতে কার্যত তোপ দেগেছে তাতে আমেরিকার এ মূহুর্তে এই ইস্যুকে ঘাটাতে চাইছে না। ট্রুডো বলছেন ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে তাঁরা এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে কানাডাকে এবার কীভাবে ট্রিট করা হবে সেটা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম