শহুরে রেস্তোরাঁয় গ্রামের ছোঁয়া, লোকশিল্পীদের সাহায্যের হাত! এই দম্পতিকে কুর্ণিশ

।। প্রথম কলকাতা ।।

কটা রেস্তোরাঁ এই কলকাতার বুকে আছে যেখানে গ্রামবাংলার খুঁটিনাটি সব কিছু খুঁজে পাবেন? সে হিসেব দেওয়া মুশকিল। তবে উত্তর কলকাতার ক্যাফেটিনো 24 -এ পৌঁছে যেতে পারলে দেখতে পাবেন ভেতরেই এক টুকরো গ্রাম। তবে শুধু নিজেদের ব্যবসার জন্য নয়। গ্রামের লোকশিল্পীদের ভরসার হাত এগিয়ে দিতে চান সন্তু ও অন্তরা। এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানালেন অনেকই। রুফটপ রেস্তোরাঁর দেওয়ালে পটচিত্র, গ্রামবাংলার আলপনা যে কারও নজর টানবে।
ছৌনাচের আঁতুর ঘর পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীদের মুখোশ। আসবাবপত্রে সুন্দর পেঁচার নকশা। ভারী কাঠের ডাইনিং টেবল-চেয়ারেও শিল্পের ছোঁয়া। পুরনো দিনে জমিদার থেকে ধনী ব্যবসায়ী শিল্পীর তুলির টানে ফুটে উঠেছে রয়েছে কলকাতার হারিয়ে যাওয়া নস্ট্যালজিয়া।

রেস্তোরাঁয় ভিনদেশের সংস্কৃতির ছোঁয়া নয় এই রেস্তোরাঁর সবটা জুড়ে বাঙালিয়ানা। শহুরে ভিড়বাট্টার মাঝেই এযেন শান্তির ঠিকানা। আসলে হারিয়ে যাওয়া বাংলার লোকশিল্পকে গুরুত্ব দিতেই এমন ভাবনা। নিউটাউনের সোনাঝুরি হাট থেকে শিল্পীদের আনিয়ে রেস্তোরাঁ সাজানো হয়েছে। বাঙালি পদের সাথে চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল ঘরোয়া পরিবেশে সব কিছু একই ঠিকানায়। শুধু গিয়ে চেখে দেখার পালা। হালকা আলোয় বসে গরম গরম ফিস ফ্রাইতে একটা কামড় দিলে মন জুড়িয়ে যাবে ভোজনরসিকদের।

কলকাতার বুকে গ্রামবাংলার সরলতাকে তুলে ধরা চ্যালেঞ্জের ছিল বললেন ক্যাফেটিনো ২৪ -র কর্ণধার অন্তরা আদক শুধু তাই নয়। গ্রামবাংলার শিল্পীদের এক ছাদের তলায় আনতে চান কর্ণধার বিভাস আদক। আর কী কী চমক থাকছে? রেস্তোরাঁর অন্দরজুড়ে গ্রামবাংলার প্রকৃতি। আগে কলকাতায় হয়নি এমন। জানালেন নিুটাউনের সোনাঝুরি হাটের শ্ল্পীদের প্রতিনিধিরা। গ্রামবাংলার লোকশিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে চান এভাবেই এই দম্পতি। এমনটা কজন ভাবতে পারে বলুন তো!শীতের হালকা রোদে গ্রাম্য পরিবেশের গন্ধ পেতে কলকাতা থেকে আর দূরে যেতে হবে না। এই রুফটপ রেস্তোরাঁই সেই আমেজ দেবে। তাহলে আর দেরি কেন? ঢুঁ মেরে আসুন ক্যাফেটিনো 24 -এ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version