রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন এই বৃদ্ধা! কেন ভিক্ষে করতে হচ্ছে? জানলে চোখে জল আসবে আপনার

।। প্রথম কলকাতা ।।

নিউটাউনের অ্যাক্সিস মলের সামনে দিয়ে গেলেই এই মহিলাকে দেখতে পাবেন। পরনে শাড়িটা ধুলোয় মাখামাখি কাঁধে ঝোলা ব্যাগ। একসময় সুখের সংসার আজ নেই। সময় আজ তাঁকে পথে নেমে ভিক্ষে করতে বাধ্য করেছে। এমন কী হয়েছিল? কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধা যা বললেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটা ভিডিও। যে ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি প্রথম বাংলা।নিউটাউনের অ্যাক্সিস মলের সামনে গেলে আপনারও চোখে পড়বে। দেখলেই বুঝতে পারবেন এই মহিলার ভাগ্য একদিন এতটা খারাপ ছিল না। কৌতুহলের বশে একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন বৃদ্ধাকে এরকম রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে?

ভিক্ষাই ভরসা, করোনা তাঁর একমাত্র ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে। ২৪ বছরের ছেলে আজ আর নেই। স্বামীকে আগেই হারিয়েছেন। ছেলেই একমাত্র ভরসা ছিল বৃদ্ধার সেও আর নেই। পরিজনেরা দঃসময়ে কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুবেলা দুমুঠো খাবার দেওয়ার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। বাধ্য হয়ে পথে পথে ভিক্ষে করছেন বৃদ্ধা। একটা সময় চাকরি করতেন। সেই কাজও এখন নেই। হাতে কোনও টাকা পয়সা নেই। বস্তিতে থাকেন। পায়ে জোর নেই। ঠিক করে হাঁটতেও পারেন না। অন্যের উপর ভরসা করে যেন মরেও বেঁচে রয়েছেন। অসুস্থ বৃদ্ধা! খাবার জোগারের টাকা নেই সেখানে ওষুধ তো বিলাসিতা। কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন জানলে আপনার চোখেও জল আসবে।

যিনি ভিডিওটি করেছেন তিনি সামর্থ্য মতো সাহায্য করেছেন। হাতে টাকা নিয়ে কেঁদে ফেলেন। চোখের জল ফেলতে ফেলতে বৃদ্ধা বলেন আজ ওষুধ টা কিনতে পারবো। এই বলে ধীরে ধীরে চলে যান। প্রিয়জনদের হারিয়ে বুকে পাথর চেপে অসহায় বৃদ্ধা আজ একা। ভিক্ষার ঝুলিতে যেদিন কিছুই মেলে না সেদিন খালি পেটেই দিন কাটে। এভাবেই বাদ বাকি জীবনটা কাটাতে হবে। কথায় আছে যাঁর কেউ নেই তাঁর ভগবান রয়েছেন। সব দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন ভগবানই রাস্তা দেখিয়ে দেন। একথা বিশ্বাস করেন অনেকেই। ঈশ্বর সহায় হন তাঁর প্রতি। এই কষ্ট সহস্য করা যাচ্ছে না। ভিডিও দেখে বলছেন নেটিজেনরাও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version