The School has no dropouts: এ যেন উল্টো পুরাণ, হাওড়ার এই সরকারি স্কুলে নেই কোন স্কুলছুট

।। প্রথম কলকাতা ।।

The School has no dropouts: বর্তমানে রাজ্যজুড়ে প্রায় অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক স্কুলে যে ছবি দেখতে পাওয়া যায় তাতে ভবিষ্যতে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের অস্তিত্ব কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ক্রমশ স্কুলগুলিতে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এমনকি ছাত্রছাত্রী না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু সরকারি প্রাথমিক স্কুল। কিন্তু সেই জায়গায় একেবারে উল্টো ছবি দেখতে পাওয়া যায় হাওড়ার সাঁকরাইল পীর সারেঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়।

নিউজ ১৮ বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত প্রায় ৭ বছরে ওই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কোদালি জানান, তিনি যখন ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এখানে নিযুক্ত হয়েছিলেন তখন সেখানে পড়ুয়াদের সংখ্যা ছিল মাত্র ২০৮ জন। তা বাড়তে বাড়তে আজ ২০২২ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪০৪ জনে। যেখানে সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেখানে কিভাবে এই স্কুলে এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী বাড়ছে ? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যদিও এই প্রশ্নের উত্তর মন ভালো হওয়ার মতই।

এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের সন্তান সমতুল্য স্নেহ দেন। এছাড়াও স্কুল ঘরগুলিকে এমনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে যা যেকোনো বাচ্চারই ভীষণ পছন্দ হবে। ক্লাসের ভেতরে দেওয়ালে এবং ক্লাসের বাইরের দেয়ালে বিভিন্ন রঙবেরঙের ছবি আঁকা হয়েছে। স্কুল জুড়ে লাগানো হয়েছে গোলাপ সহ বিভিন্ন রঙবেরঙের ফুল গাছ।শিশুদের খেলার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বিজ্ঞান বইয়ে শিশুরা যা যা পড়েন সেগুলিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবি এবং মডেলের মাধ্যমে।

এই সরকারি স্কুল একঘেঁয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির মতো নয়। এখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ম্যাগাজিন ডেস্কে বিভিন্ন গল্পের বই এবং পছন্দের কার্টুনের বই রাখা হয়। স্কুলের ফাঁকা অংশে চাষ করা হয় কিছু সবজি। আর সেই সবজি চাষ করার জন্য স্কুলেই তৈরি করা হয় জৈব সার। স্বাভাবিকভাবেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বয়সটাই এমন যে তাঁরা ক্লাসরুমের ভেতরের জগত থেকে বাইরের খোলামেলা জগতকে বেশি ভালোবাসে। আর স্কুলে গিয়ে যদি সেই রকম একটি জগত পাওয়া যায় প্রতিদিন তবে স্কুলমুখী হতে কে না চাইবে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version