।। প্রথম কলকাতা ।।
গোটা পৃথিবীকে কোন বিপদের দিকে ঠেলে দিলেন পুতিন? এবার চাল রফতানি বন্ধ করে দিল রাশিয়া। ভারতকে নকল করতে গিয়ে বড় ভুল করছে না তো মস্কো? কেন এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত? যুদ্ধ করতে গিয়ে নিজের পায়েই কুড়ুল মারলো রাশিয়া? রাশিয়ার চালের দিকে তাকিয়ে এতোগুলো দেশ। ভাতটুকুও আর জুটবে না? আন্দাজ করতে পারছেন? ২৩ এর বাকিটা কিন্তু ভয়ঙ্কর কাটবে। দেড় বছর ধরে যুদ্ধ চলছে দেশটাতে। তার মধ্যেই চালের সঙ্কট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রাশিয়ায়। ধানের ফলন কম হওয়ায় চাল উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। চালের জন্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। দেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য ভাত এবং চালজাত অন্যান্য খাবার। তাই বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কী করলেন?
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারকে স্থিতিশীল করতে চাল রফতানি নিষিদ্ধ করে দিলেন। প্রক্রিয়াজাত চালের যাবতীয় রফতানি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আতপ চালও আপাতত বিদেশে রফতানি করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পুতিনের সরকার। একদিকে ভারত, চাল বিদেশে রপ্তানি সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া। তাহলে কী বড় সঙ্কটে পড়তে চলেছে গোটা বিশ্ব? কারণ, রাশিয়া থেকে বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে চাল রফতানি করা হয়। রাশিয়ার চালের দিকে তাকিয়ে অনেক দেশ সেক্ষেত্রে, পুতিনের নিষেধাজ্ঞার ফলে সঙ্কটের আশঙ্কা করছে ওই দেশগুলি। যদিও, ক্রেমলিন অবশ্য জানিয়েছে, চালের রফতানির উপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ওই দেশগুলিতে একই ভাবে চাল রফতানি করে যাবে রাশিয়া।
ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির তালিকায় আছে, বেলারুস, আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান এবং কিরগিস্তান। এছাড়া, ককেশাস পর্বত ঘেঁষা ওয়েটিয়া প্রদেশ এবং আবখাজিয়া প্রদেশেও চাল রফতানি চালিয়ে যাবে ক্রেমলিন। এছাড়া পুতিন জানিয়েছেন, তাঁরা চাল রফতানি বন্ধ করলেও অন্য দেশ থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের উপর দিয়ে চাল পরিবহণ করানো যাবে। মানবিকতার খাতিরে তাতে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। আরও একটা বিষয় জানলে রাশিয়া থেকে চাল আমদানিকারক দেশগুলো সামান্য হলেও স্বস্তি পাবে। চাল রফতানিতে রাশিয়ার এই নিষেধাজ্ঞা কিন্তু সাময়িক। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রফতানি বন্ধ রাখা হবে। তার পর আবার দেশে দেশে চাল পাঠাবে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই চাল রফতানি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চাল রফতানিকারক দেশ ভারত। এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বাড়াতে এবং আসন্ন উৎসবের মরসুমে চালের খুচরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসমতী ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রফতানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। যখন সেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল মানে আইএমএফ। তখন রাশিয়াও ভারতের দেখাদেখি একই পথে হাঁটলো। এতে, বিশ্ব খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে বড় প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম