।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রাকৃতিক সম্পদে ঠাসা ভিয়েতনামেই তীক্ষ্ণ নজর, ঝোপ বুঝে কোপ মারছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিয়েতনামকে কাছে টেনে
বেজিংকে সবক শেখাতে মরিয়া বাইডেন। ইরাদা সফল হবে? হ্যানয় সফরে লুকিয়ে কোন রহস্য? দখলদারি রাজনীতিই ডোবাচ্ছে বেজিং কে? কোন কৌশলে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যালেন্স করবে দেশটা? ভিয়েতনামের সামনে বড় পরীক্ষা। বিরল মৃত্তিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ ভিয়েতনামের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ? নজর পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। জি ২০ টু সরাসরি ভিয়েতনাম। দেশটার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে হ্যানয় সফরে জো বাইডেন। টার্গেট সেমিকন্ডাক্টর আর বিরল মৃত্তিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ।
তাছাড়া, গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের এফেক্ট কমাতে দেশ দুটো কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের পথে। এমনকি, উভয় দেশ পরস্পরের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হয়ে উঠতে পারে। বড় সুযোগ বাইডেনের হাতে। তবে এই সুযোগ এতো সহজে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরা দিত না। চীনই পথ দেখিয়েছে পরোক্ষভাবে। খোলসা করে বলি, বাইডেনের এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্ক দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে একপ্রকার তলানিতে ঠেকেছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটার বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আগেও ভিয়েতনাম আরও চারটে দেশকে ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। চীন, রাশিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়া। এরপরেই নিজের জায়গা করতে মরিয়া চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের।
দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভীত যথেষ্ট পোক্ত। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভিয়েতনামের বাণিজ্য ১৩.৬ শতাংশ বেড়েছে। ওই বছর ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রে ১০৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে। আর এবার, যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন আরও বাড়ার চান্স থাকছে। একসঙ্গে অনেকগুলো দিক থেকে দুদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন সমর্থিত উত্তর ভিয়েতনাম এবং মার্কিন সমর্থিত দক্ষিণ ভিয়েতনামের মধ্যকার দশকব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ৫০ বছর পর ভিয়েতনাম সফরে বাইডেন। কম বড় কথা নয়। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই সফর যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করার, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করার এক অভূতপূর্ব উদ্যোগ।
আজ নয় যুক্তরাষ্ট্র বিগত কয়েক দশক ধরেই ভিয়েতনামকে কৌশলগত অংশীদার হওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু হ্যানয় এ ব্যাপারে ভীষণ কৌশলী। কারণ, দেশটা কোনোভাবেই চীনের মতো কাছের ও বৃহৎ প্রতিবেশীকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে চায় না। পাশাপাশি রাশিয়াকেও হারাতে চায় না। কারণ এই দুটো দেশই ভিয়েতনামের রপ্তানি পণ্যের কাঁচামালের অধিকাংশই সরবরাহ করে থাকে। তাই আপাতত ব্যালেন্স পলিসিতেই হাঁটতে হবে ভিয়েতনামকে, খেলতে হবে কৌশলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম