Bangladesh Election: হিরো আলমের উপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ, আবার যুক্তরাষ্ট্রের চাপে বাংলাদেশ!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh Election: সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ আর গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বেশ চাপে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এসেছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা। যদিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারংবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচন হবে সঠিক পদ্ধতিতে, সুষ্ঠুভাবে। কিন্তু সোমবার উপনির্বাচনে হিরো আলমের উপর হামলা প্রসঙ্গ পৌঁছে গেল মার্কিন পররারাষ্ট্র দপ্তরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো আলমের উপর হামলার ভিডিও এখন ভাইরাল। হিরো আলম নিজে সাংবাদিকদের বলেছেন, এই নির্বাচন তিনি মানেন না। তাকে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তারপরেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতার কোন স্থান নেই।

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, আর সেই অভিযোগ বারংবার করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ঘটনার স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করেছে। সোমবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের সময় হিরো আলমের উপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতার স্থান নেই। তিনি আশা করেন, বাংলাদেশ সরকার অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। এই বিষয়টা তিনি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। ঢাকা-১৭ আসনে বিজয়ী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার মাত্র ২০ মিনিট আগে এই ঘটনা ছিল একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। তিনিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তার মতে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

হিরো আলমের উপর হামলার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। টুইট বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস জানান, সহিংসতা ব্যতীত নির্বাচনে অংশগ্রহণের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। হামলার ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নিতে হয়েছে হিরো আলমকে। তারপর তিনি নির্বাচনী কার্যালয় গিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই জানান এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছেন। নির্বাচন কমিশনও, এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এসব কিছুর মিলেমিশে বলা যেতেই পারে, মানবাধিকার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার কিন্তু নতুন করে আবার চাপে পড়ল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version