।। প্রথম কলকাতা ।।
হামাসের চোরাবালিতে হারিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার ভেতরে এত বড় খাদ? কিভাবে ইহুদী ভূমিকে বশ করার মন্ত্র ছড়াবে ইরান? জায়নবাদী শক্তিতে কিসের এতো ভয় ইরানের? এটা আসলে কী? ইরানের এই অস্ত্রেই কী গুটিয়ে যাবে ইসরায়েলের অপারেশন? নতুন যুদ্ধফ্রন্ট আসছে।জানেন কতটা ভয়ংকর? নেতানিয়াহুর সামনে বড় ফাঁড়া।গাজার ভেতরে লোহার জাল বিছিয়ে দিয়েছে হামাস? ইসরায়েলের আইডিএফ যত ভেতরে ঢুকছে, ততই কি ফেঁসে যাচ্ছে? ইসরায়েলের চাপ বাড়ছে। তেঁতে উঠছে ইরান। প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় অভিযানরত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধফ্রন্ট খোলার বার্তা দিয়েছে তেহরান। এটা একদম পরিষ্কার, তলে তলে প্ল্যান এগিয়েছে অনেক দূর। এবার এমন কিছু ঘটতে চলেছে যা নেতানিয়াহুর দেশ ঘুণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না?
জায়নবাদবিরোধী নতুন যুদ্ধফ্রন্ট গড়ে তুলছে ইরান। পুরো ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন আছে। জায়নবাদ কী? ইহুদীদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে জায়নবাদ নামে অভিহিত করা হয়। অতএব, সামনের দিনের যুদ্ধে সেই ফ্রন্ট যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর সেই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই বিশ্ব থেকে বিদায় নেবে জায়নবাদী শক্তি বলছে ইরান। একদম সাফ হুমকি ইরানের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইরান’স রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের প্রাক্তন প্রধান মোহসিন রেজায়ি। আর তার থেকেও বড় কথা হলো, ইরান বলছে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে এই কথা বলছে ইরান সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। আশঙ্কার বিষয় হল ইরান যা প্রেডিক্ট করছে সেটা সত্যি হয়ে গেলে ইসরায়েলের মাথা তুলে দাঁড়ানো কঠিন হবে। ইরান বলছে, ইসরায়েল চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। গাজায় তারা যত এগোবে— ততই ডুববে। বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পতনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই যুদ্ধ। তাহলে এবার ইসরাইল প্যালেস্টাইন যুদ্ধে সরাসরি জড়াচ্ছে ইরান?
হুমকির সুরে ইরানের এই ভবিষ্যৎবাণীই ইহুদী ভূমির চাপ বাড়াচ্ছে, প্যালপিটিশন বাড়াচ্ছে। জানিয়ে রাখি, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বুকে হামাসের হামলা চালানোর পর যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে, প্যালেস্টাইনের বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইজরায়েলি ফৌজ। সেইসময় সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাসিন্দাদের দক্ষিণে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তেল আভিভ। তাতে প্রাণভয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আশ্রয় নেন দক্ষিণ গাজায়। এখন আইডিএফের কোপ পড়েছে সেখানেও। আর ইসরাইলি বাহিনীর এই অপারেশনেই ছারখার হয়ে যাচ্ছে গাজা স্ট্রিপ। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। যুদ্ধ থামার এখনো কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং প্রতিনিয়ত মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ আরো বেশি তীব্র হচ্ছে। তার মধ্যে ইরানের এই নতুন যুদ্ধ ফ্রন্ট ঘোষনা করার কথা নেতানিয়াহুর জন্য চাপ বাড়ানো বই কমালো না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম