চাঁদের বুকে রোভার চালাবে বাংলার ছেলে, বলবে চন্দ্রযান-৩ এর সফলতার গল্প

।। প্রথম কলকাতা ।।

পৃথিবীতে বসে চাঁদের বুকে গাড়ি চালাবে বাংলার ছেলে! কিন্তু কিভাবে? এমনটা আবার হয় নাকি? হ্যাঁ, এটাই হতে চলেছে। শুধুমাত্র চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদের মাটি ছোঁয়ার অপেক্ষা, তারপরেই কামাল দেখাবেন বাংলার এক যুবক। চাঁদের মাটিতে কি হচ্ছে, কি ঘটছে, সবটা নজর রাখবে রোভার। আর পৃথিবী থেকে চাঁদের বুকে রোভার নিয়ন্ত্রণ করবে কে জানেন? বাংলার কৃষক পরিবার এই ছেলে। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন, ইঞ্জিনিয়ার হবেন। তার সেই স্বপ্ন সত্যি হল। বাংলার এই ছেলে আজ গোটা দেশের গর্ব। ইনি কৃশানু নন্দী, বাড়ি বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার ডান্না গ্রামে।

আচ্ছা, এই যে ঘুরে ফিরে বারবার কথা হচ্ছে রোভার নিয়ে, এটা ঠিক কি জিনিস? কিভাবে কাজ করে চাঁদের মাটিতে? যার গুরু দায়িত্ব রয়েছে কৃশানুর হাতে। ১৪ই জুলাই চাঁদের উদ্দেশ্যে পৃথিবী থেকে দুরন্ত গতিতে ছুটে গিয়েছে চন্দ্রযান ৩। ২০১৯ এর দুঃখ ভুলিয়ে চন্দ্রযান ৩ বলবে ভারতের সফলতার গল্প। সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেকটা মানুষ।

২৩ কিংবা ২৪শে আগস্ট নাগাদ চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩ এর নামার কথা। তারপর কাজ শুরু করবে রোভার অর্থাৎ একটা ছোট্ট রোবট গাড়ি। যা চাঁদ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাবে। আর এই রোভারের গতিবিধির সমন্বয়ে আর নিয়ন্ত্রণ করবে একদল ইঞ্জিনিয়ার। তাদের মধ্যেই রয়েছেন বাঁকুড়ার কৃশানু। এটা কি কম বড় কথা নাকি? খুব ছোট থেকেই কৃশানুর মহাকাশ বিজ্ঞানের বিষয়ে প্রবল ঝোঁক ছিল। পড়াশোনায় আগাগোড়াই ভালো। স্বপ্ন দেখতেন বড় ইঞ্জিনিয়ার হবেন। আজ ইসরোর ইতিহাসে তিনি নিজের নাম লেখাতে পেরেছেন। পূরণ করেছেন নিজের স্বপ্ন। কৃশানু নিজেও ভীষণ খুশি । তিনি অপেক্ষা করছেন, কখন চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে। শুরু করবেন তার আসল কাজ।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃশানু বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তারপর কলকাতার আরসিসি ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে বিটেক করেন। তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপ্লিট করেন এমটেক। এরপর পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পান ইসরোতে। ছোট থেকে একটু চাপা স্বভাবের, তবে পড়াশোনায় বরাবর ভালো রেজাল্ট করেছেন। এখন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বৈজ্ঞানিক হিসেবে কর্মরত। কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। তার এখন একমাত্র লক্ষ্য, রোভারের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ আর সমন্বয় করা। দেশের কাজে অংশ নিতে পেরে কৃশানু ভীষণ গর্বিত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version