।। প্রথম কলকাতা ।।
G-20 Foreign Minister Meet: প্রায় এক বছর হয়ে গিয়েছে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ (Ukraine-Russia Conflict) এখনও অব্যাহত। যুদ্ধ হওয়ার পর এই প্রথমবার জি-টোয়েন্টি (G-20) বৈঠকে ভারতে (India) রাশিয়া আর মার্কিন বিদেশ মন্ত্রীর কথা হল। এই বৈঠকে ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কাছে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী ক্ষমা চাইলেন। তাঁর হঠাৎ ক্ষমা চাওয়ার পিছনে বেশ কতগুলি কারণ রয়েছে।
দিল্লিতে জি-টোয়েন্টি বৈঠকে অংশ নিয়েছে রাশিয়া এবং আমেরিকা। উপস্থিত রয়েছেন রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ (Sergey Lavrov) এবং মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Anthony Blinken)। মাত্র ১০ মিনিটের এই বৈঠকে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী রাশিয়ান বিদেশ মন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন করছে ঠিক সেভাবেই সমর্থন করে যাবে। এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক শান্তি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা উঠে এসেছে। যেখানে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী রাশিয়ার উদ্দেশ্যে জানান, এই আগ্রাসনের যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
অপরদিকে জি-টোয়েন্টি বৈঠকে পশ্চিমা দেশগুলি প্রতি কটাক্ষ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলি জি-টোয়েন্টি অ্যাজেন্ডাকে উপহাস করছে। যেখানে ভারতের উত্থাপিত উন্নয়ন ইস্যুতে প্রাধান্য পাচ্ছে ইউক্রেন ইস্যু। তার জন্য তিনি ভারত এবং জি-টোয়েন্টির সহযোগী দক্ষিণের দেশগুলোর কাছে ক্ষমা চান। তিনি ভারতের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমি আয়োজক ভারত এবং গ্লোবাল সাউথের দেশগুলি থেকে আমাদের মিত্রদের কাছে ক্ষমা চাইছি… যেখানে পশ্চিমা প্রতিনিধিদল G-20 অ্যাজেন্ডার কাজকে রসিকতায় পরিণত করেছে।.. রাশিয়ার উপর ব্যর্থতা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে”। তিনি বলেন আরো বলেন, “আমরা পশ্চিমা দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করতে দেখেছি… তারা অস্ত্র ও জ্বালানি খাতে সব সম্পর্কে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে”। পাশাপাশি আরো বলেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার নিশ্চিত করতে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রাশিয়া জি-টোয়েন্টিতে সুষ্ঠু সংলাপের জন্য প্রস্তুত। আশা করা হচ্ছে, এই বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দিল্লির শীর্ষ সম্মেলনে পশ্চিমা দেশগুলি স্বার্থপর নীতিকে কিছুটা কমিয়ে দেবে। তিনি এই বৈঠকের প্রথম অধিবেশনে বহুপক্ষিকতা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সহযোগিতার উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে গভীর মত পার্থক্যের সময় এই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। ভারতও তো মনে করছে, এই বৈঠকের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম