হুথির কালো নজরে বাঁধা লোহিত সাগর, হারাচ্ছে জাহাজ, সাগরের মাঝেই পাঁচিল তুললো কারা ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

পৃথিবীর চামড়া ফুঁড়ে দানবীয় গর্ত খুঁড়েছে ইয়েমেন? হুথিদের কালো নজরে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়াছে লোহিত সাগর। বিছিয়ে দিয়েছে ভয়ানক লাল কার্ড। ফাঁদে পড়লেই হারিয়ে যাচ্ছে জাহাজ? রেড সিগন্যালে আটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র। সাগরের মাঝেই লোহার পাঁচিল তুলছে ওয়াশিংটন। হাত মেলালো কারা? কারেন্টের জালে জোর ঝটকা খাবে হুতি? আকাশ পাতাল এক করে কোন ছকে সামিল হলো হামাস-হুতি? মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের এফেক্টে ফুটছে লোহিত সাগর। হুতি বিদ্রোহীদের ভয়ঙ্কর ট্রিটমেন্ট। ইসরাইলের ব্যাকবোন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক চাপে। পাল্টা দিতে কারেন্টের ফাঁদ পাতছেন বাইডেন? ব্যস্ত শিপিং রুটগুলোর মধ্যে অন্যতম লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর দিয়ে চলালচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী গঠনের কথা জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

অলরেডি ৯টি দেশ এই ফোর্সে যোগ দিতে রাজি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। লিস্টে আছে যুক্তরাজ্য, বাহরাইন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সেশেলস। লোহিত সাগরে হুথিদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ যে ভূমিকা পালন করছে ওই সব দেশ তা করবে কি না, সেটা এখনো পরিষ্কার না। প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাসের সমর্থনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আরবের সুন্নি রাষ্ট্রগুলোর মতো শুধু কথায় নয়, সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে হুতি। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে ইসরাইলগামী জাহাজ লক্ষ্য করে, আবার কখনো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে মিসাইল অ্যাটাক। প্যালেস্টাইনকে সাপোর্ট করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইয়েমেনের হুতি।

আর তাই ১৫ই ডিসেম্বর এর পর একাধিক শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। পিছু হঠেছে পশ্চিমা কোম্পানি শিপিং জায়েন্ট মার্স্ক। অলরেডি যাতায়াতের পথও পাল্টে ফেলেছে। পরিবর্তে এখন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের ভয়ে শিঁটিয়ে যাচ্ছে শিপিং কোম্পানিগুলো। তারা বলছে সুয়েজ খাল ও লোহিত সাগর দিয়ে ঠিক কবে জাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে শিপিং কোম্পানিগুলোর।

ঘুরপথে জাহাজকে যাতায়াত করতে হলে বেড়ে যাবে সময়, বাড়বে খরচও সেক্ষেত্রে এতো ইম্পরট্যান্ট একটা বাণিজ্য রুট থেকে এভাবে কতদিন দূরে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র? তেমন হলে, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে আমেরিকা কি হুতির বিরুদ্ধে স্পেশাল অপারেশন চালাতে পারে বাকি ৯ দেশকে সঙ্গে নিয়ে? লাখ নয়, এগুলোই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version