বাংলাদেশে ডিমের দাম হবে ১২টাকা, ভারতের ম্যাজিক

।। প্রথম কলকাতা ।।

শত চেষ্টা করেও পারল না বাংলাদেশ, নাগালের বাইরে ডিমের দাম। চিন্তা নেই, কোটি কোটি ডিম যাবে ভারত থেকে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে দেশটা। বাজার মূল্য ন্যায্য রাখতে বারংবার বাংলাদেশকে কেন ভারতের উপর ভরসা করতে হচ্ছে? ডিমের পর এবার পালা আলুর। ভারতের পণ্য বাংলাদেশে ঢুকলেই কমবে দাম। এই সোজাসাপ্টা মেথডেই চলছে স্ট্র্যাটেজি। কিন্তু এভাবে কতদিন? বাংলাদেশে ডিমের দাম আদৌ কমবে তো? পৌঁছাবে কত টাকায়?

পিঁয়াজ কাঁচালঙ্কা টমেটোর পর বাংলাদেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে পৌঁছাবে কোটি কোটি ডিম। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সিন্ডিকেটের কবল থেকে ডিমের বাজার বাঁচাতে আপাতত নির্ভর করছে ভারতের উপর। হিসেব বলছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ কোটি ডিমের প্রয়োজন। কিন্তু সিন্ডিকেট আর ঘাটতির কারণে হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম। সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা। মাছ মাংস তো দূর, একটা ডিম খেতে গেলেও দুবার ভাবতে হচ্ছে।

ভারতে কিন্তু বাংলাদেশের তুলনায় ডিমের দাম অনেক কম। এর আগেও দেশটার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখে একই কথা শোনা গিয়েছে। বলা হয়েছে, প্রয়োজন পড়লেই ভারত থেকে ডিম আমদানি করা হবে। আর সেটাই সত্যি হল। ভারতে ডিম বিক্রি হয় ৬ থেকে ৭ রুপি পিস দরে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে ডিমের দাম শুনলে অবাক হতে হয়। বাংলাদেশে ঢাকার বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা পিস দরে। জায়গা ভেদে দামের হেরফের রয়েছে। আপাতত আমদানি করা ডিম বাংলাদেশ খুচরো বাজারে বিক্রি হবে ১২ টাকা দরে। যদিও ডিম আমদানির ক্ষেত্রে দেশটা কিছু শর্ত আরোপ করেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে, বার্ড ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা মুক্ত ডিম আমদানি করতে হবে। পরিশোধ করতে হবে নির্ধারিত শুল্ক। কখনোই নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রায় ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য অনুমতি পেয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে এলসি খুলেছে ৭টি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু খটকা একটা জায়গায়। বারো টাকায় ডিম আদৌ মিলবে তো? ইতিমধ্যেই ভারতীয় ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সেক্ষেত্রে এক একটা ডিম বাংলাদেশে পৌঁছাতে খরচ পড়বে অন্ততপক্ষে ১০ টাকা। তার উপর রয়েছে ট্যাক্স।

ব্যাপারটা কিন্তু ডিমেই থেমে নেই। পৌঁছে গেছে আলুতেও। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, আপাতত পর্যাপ্ত আলু মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি চলছে বাজার মনিটরিং। দাম বাড়তে থাকলে, প্রয়োজনে আলুও আমদানি করবে বাংলাদেশ। আপ্রাণ চেষ্টা, যাতে আলুর দাম সহনীয় থাকে। কিন্তু প্ল্যান ফেল করলেই ভরসা তখন ভারত। বাংলাদেশ সরকারের কাছে সেই সুযোগও রয়েছে। কারণ একটাই। আলুর মতো পণ্য আমদানি করতে হবে কাছাকাছি কোন দেশ থেকে। বর্তমানে কলকাতার খুচরো বাজারে আলুর দাম বড় জোর প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৪ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় ২৯ থেকে ৩২ টাকা। পাইকারি দর আরো কম। কিন্তু বাংলাদেশের ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ভারতের পাশাপাশি একইভাবে আলুর দম কম মিয়ানমারেও। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে সব ব্যাংক লেনদেন আপাত ভাবে বন্ধ রয়েছে। তাই বাংলাদেশের আলু আমদানির ফার্স্ট চয়েস ভারতই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version