।। প্রথম কলকাতা ।।
বৃদ্ধার কান ছিঁড়ে সোনার দুল নিয়ে গেল চোর। নামী সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি পর আরেক ভয়ঙ্কর ঘটনা। চোখে ভালো দেখতে পান না বৃদ্ধা আপনজন বলতে কেউ নেই। সেই সুযোগেই সোনার দুল ছিনতাই এই চোরদের ফাঁদে পড়তে পারেন আপনিও। বৃদ্ধার সাথে কী হয়েছে জানুন। অসহায় বৃদ্ধার কান্না দেখে চোখে জল আসবে আপনার। সম্বল বলতে ছিল দুখানি কানের দুল। চোখে ভালো দেখতে পান না। সেটাই বড় সুবিধে হল। বৃদ্ধার অবস্থা দেখে কষ্ট হবে।
রোজকার মতই তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন হরিমতি চক্রবর্তী। মঙ্গবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঠাকুমা বলে কেউ দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকতে থাকে। তাঁকে বিশ্বাস করে দরজাও খুলেছিলেন তাতেই ঘটল বিপত্তি। সাথে সাথে হরিমতি দেবীর মুখ চেপে ধরল চোর ঠিক যেমনটা সিনেমার পর্দায় হয়। এরপরই দুই কানের সোনার কানের দুল ধরে টান মারে। এক কান পুরো কেটে গিয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন বৃদ্ধা। এক কানে ব্যান্ডেজ বাঁধা। সব কিছু হারিয়ে চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে তাঁর। হাপুস নয়নে কেঁদে ভাসাচ্ছেন হরিমতি দেবী।
হরিমতি দেবীর কেউ নেই এরকম অসহায় একজনের শেষ সম্বল কেড়ে নিতেও পা আটকায়নি কিছু অসৎ ব্যক্তিদের। স্থানীয়দের ধারণা বৃদ্ধার চেনাশুনা কেউই এই কাজ করেছেন। কিছুদিন আগেই একই দিনে দুই জেলায় একই সোনার দোকানের শোরুমে পিঠোপিঠি সময়ে ভয়াবহ ডাকাতি হয়! ভর দুপুরে শোরুমে ঢুকে অবাধ দুষ্কৃতী-তাণ্ডব। কোথাও প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের শ্যুটআউট। কোথাও আবার ডাকাতি করে বাইকে চড়ে বিনা বাধায় চম্পট। জোড়া ঘটনা যেন সাধারণ মানুষের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার পর প্রশ্নের মুখে গয়নার দোকানগুলোর নিরাপত্তা। দোকানের মালিকদের সাথে আতঙ্কে ক্রেতারাও। আধুনিক নিরাপত্তায় মোড়া গয়নার দোকানও তাহলে সুরক্ষিত নয় ? দিন দুপুরে ডাকাতি হয়ে যায় কোটি কোটি টাকার গয়না । কিন্তু এই বৃদ্ধার থেকে দুটো কানেরদুল নিয়ে সুখ পাবে চোর?হরিমতি দেবীর চোখের জল অভিশাপ হবে না তো?বলছেন স্থানীয়রাও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম