Mysterious death in Kolkata: বাংলাদেশি সন্ত্রাসীর রহস্য মৃত্যু কলকাতায়, কিনারা খুঁজছে পুলিশ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mysterious death in Kolkata: কলকাতার হরিদেবপুরে ফের আত্মহননের ঘটনা। ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির নিথর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় হরিদেবপুরে। দ্রুত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওড়নার সঙ্গে সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। জানা যায় নূর-উন লতিফ নবী আসলে একজন বাংলাদেশের নাগরিক। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতায় বসবাস শুরু করেছিলেন তিনি।

২৯ তারিখ রাত ১০.১০ নাগাদ জনৈক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী হরিদেবপুর থানায় এই ঘটনা সম্পর্কে জানান। পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হরিদেবপুরের মতিলাল গুপ্ত রোড এলাকায় বসবাস ছিল নূর- উন লতিফ নবীর। তবে গতকাল রাতে তাঁর ঘরে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেই সময় তাঁর গলায় একটা লাল রঙের ওড়নার ফাঁস ছিল বলে জানা যায়। আর সেই ওড়নার অপরপ্রান্তটি বাধা ছিল সিলিং ফ্যানের সঙ্গে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

পুলিশ সূত্র মারফত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নূর নবী আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। তবে তিনি বর্তমানে ওই এলাকায় বসবাস করছিলেন অর্পিতা হাজরা নামে এক মহিলার সঙ্গে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ওই এলাকায় একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন অর্পিতা এবং নূর নবী । জানা যায় বর্তমানে নূর নবী বেকার ছিলেন এবং তিনি প্রচন্ডভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। যার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে।

অর্পিতা গতকাল সকাল ৮.০৫ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান নিজের কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে। তিনি বাড়ি ফিরে আসেন রায পৌনে নয়টা নাগাদ। সেই সময় তিনি দেখেন তাদের ঘরের কাঠের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কোনো রকম সাড়াশব্দ না মেলায় দরজা ভাঙা হয় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় । এরপর দরজা ভাঙতেই দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে তাঁর দেহ।

নিউজ ১৮ বাংলায় প্রকাশিত খবর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নূর নবী প্রথম লকডাউনের সময় কলকাতায় চলে আসেন। সেখানে তিনি নাম বদলে বসবাস শুরু করেন । নিউ মার্কেটে মাছের ব্যবসাও শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক থানায় তোলাবাজি সহ খুনের চেষ্টা , ডাকাতি, লুটের মতো একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ সিআইডি আটক করে নূর নবীকে। জেরা করায় একাধিক তথ্য উঠে এসেছিল। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে কোনো টেরোরিস্ট গ্রুপের যোগাযোগ রয়েছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি । গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের এক সেমি টেরোরিস্ট গ্রুপের সঙ্গে যোগসূত্র ছিল এই নূর নবীর । গতকাল হরিদেবপুরের বাড়িতে নিজেই আত্মহত্যা করেন তিনি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version