Nuclear Submarine: আমেরিকার ভাঁড়ারে সব থেকে বেশি পারমাণবিক সাবমেরিন! ভারত চীন কত নম্বরে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Nuclear Submarine: বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের (War) দামামা। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে (Ukraine-Russia War) কেন্দ্র করে গোটা বিশ্বের মধ্যে যেন দল ভাগাভাগি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সময় কোন দেশের ভাঁড়ারে ঠিক কত পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র রয়েছে তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যে দেশের কাছে বেশি পরমাণু অস্ত্র সেই দেশ বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। ‘TimesNow নবভারত’ (হিন্দি) এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব থেকে বেশি পারমাণবিক সাবমেরিন (Nuclear Submarin) রয়েছে আমেরিকার (America) কাছে। ভারত (India) আর চীনের (China) কাছে তাহলে কটি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে? এই পরমাণু অস্ত্রের তালিকায় যুক্ত আর কোন কোন দেশ?

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন চাইছে নিজের রাজ চালাতে। চীনকে আটকাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া। জোট বেঁধেছে এই তিনটি দেশে। এখন যৌথ পারমাণবিক সাবমেরিন বহর তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে অস্ট্রেলিয়াকে তার প্রথম পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন সরবরাহ করতে পারে। পাশাপাশি এই তিনটি দেশ যৌথভাবে নতুন প্রযুক্তিতে সজ্জিত উন্নত সাবমেরিন নির্মাণ করবে। এই পরিকল্পনায় বেশ চটেছে চীন। পাশাপাশি কড়া সমালোচনা করেছে ড্রাগনের দেশ।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি সম্পর্কে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তাদের তৈরি সাবমেরিন গুলি পারমাণবিক জ্বালানিতে চলবে এবং এখানে পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না। চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়ার মেরিনরা যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনে যাবেন পারমাণবিক সাবমেরিন পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিতে। যে কোন দেশের ভাঁড়ারে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বিশ্বের সব দেশের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন নেই। হাতে গোনা কয়েকটি দেশেই রয়েছে। সেই তালিকায় কিন্তু ভারতও রয়েছে। বিশ্বের মোট ছয়টি দেশের কাছে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন রয়েছে। তালিকায় রয়েছে আমেরিকার, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন এবং ভারত।

পারমাণবিক সাবমেরিন অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। এটি ব্যবহারে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না। ডিজেলের তুলনায় অত্যন্ত দ্রুত কাজ করে। সাধারণত পারমাণবিক সাবমেরিন গুলি ব্যবহার করা হয় গোয়েন্দা অপারেশনের ক্ষেত্রে। এগুলি রক্ষণাবেক্ষণ যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি বেশ কাজের। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অনুযায়ী, আমেরিকার কাছে প্রায় ৬৮ টি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে, রাশিয়ার কাছে রয়েছে ২৯টি সাবমেরিন। চীনের কাছে রয়েছে ১২টি পারমাণবিক সাবমেরিন। অপরদিকে ব্রিটেনের কাছে ১১ টি, ফ্রান্সের কাছে ৮টি এবং ভারতের কাছে ১টি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে। ভারতের এই সাবমেরিনের নাম আইএনএস অরিহন্ত। পারমাণবিক জ্বালানি চালিত সাবমেরিন গুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য সমুদ্রের গভীরে থাকতে পারে। এই সাবমেরিন গুলি টানা ৩০ বছর ধরে জলে চলতে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version