পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড শেষ! নেপথ্যে কে ? পাকিস্তান জামাই আদরে রেখেছিল

।। প্রথম কলকাতা ।।

পাঠানকোট হামলার হ্যান্ডলার শেষ হয়ে গেল পাকিস্তানে। বহাল তবিয়তে এতদিনে পাকিস্তানে ঘাঁটি জইশের অ্যাকটিভ সদস্য লতিফ ভারতে কি করত জানেন? কে বা কারা শেষ করল লতিফকে? মসজিদ থেকে বের হতেই সোজা শ্যুট জইশ জঙ্গি শাহিদ লতিফকে। ভারতে বিমানে ছিনতাই থেকে পাঠানকোন হামলার হ্যান্ডলার পাকিস্তান কার্যত যেন জামাই আদরে রেখেছিল লতিফকে কিন্তু শেষরক্ষা হল না৷ কারা খুন করল এই জইশ জঙ্গিকে?

ভারতের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ছিল লতিফ ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারির সেই পঠানকোট হামলার স্মৃতি  এখনও টাটকা সেই হামলার মুখ্য হ্যান্ডলারদের মধ্যে একজন ছিল লতিফ। এখানেই তার কুকীর্তির শেষ নয় ১৯৯৯ সালে নেপাল থেকে দিল্লিগামী একটি ভারতীয় বিমানের হাইজ্যাক করার ঘটনাতেও অন্যতম অভিযুক্ত ছিল লতিফ। পঠানকোট হামলার তদন্তে জানা যায় পাকিস্তানে বসে চার জইশ জঙ্গির সঙ্গে ভারতে হামলার পরিকল্পনা করেন লতিফ। তার কথাতেই ২০১৬ সালে নতুন বছর শুরু হতেই কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল চার জন জঙ্গি। বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অতর্কিতে তারা হামলা চালায় চার দিনের লড়াইয়ের শেষে জইশের ওই চার জঙ্গিও ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে খতম হয়। হামলার এক দিন পরে ৩ জানুয়ারি পঠানকোটের সেনাঘাঁটিতে একটি বড়সড় বিস্ফোরণ হয় তার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল লতিফ। সেই বিস্ফোরণে আরও এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়।

এই লতিফ কি তারপরই পাকিস্তানে পালায়? নাকি ভারত গ্রেফতার করেছিল তাকে? ১৯৯৪ সালেই বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছিল জইশ জঙ্গি শাহিদ লতিফকে। বিচার প্রক্রিয়া শেষের পর তাঁর জেল হয়। ২০১০ সালে তাঁর সাজা পূরণ হওয়ার পর তাঁকে ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল ভারতের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের ডানা গজায় তার। পাকিস্তানে ফেরার পরই ফের জিহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল লতিফ। ভারত সরকারের তরফে তাঁকে ওয়ান্টেড জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই লতিফকেই লক্ষ্য করে বুধবার পাকিস্তানের শিয়ালকোটে গুলি চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুই দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এখনও অবধি হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। কারা ঠিক লতিফের খুনের পিছনে দায়ি সেই তথ্য এখানে পষ্ট নয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version