।। প্রথম কলকাতা ।।
Local Train: দেবীর বিসর্জনের পর শক্ত হাতে জেগে উঠেছেন আরেক উমা। কে তিনি? তাঁর কাজের কথা জানলে অবাক হবেন আপনি। নিজের হাতে সংসার সামলান। তারপর যে কাজ করেন তিনি তা শুনলে আপনারও গর্বে বুক ফুলে উঠবে।অশুভ শক্তির বিনাশে নারীর জয়জয়কার চারদিকে। বর্তমানে নানান কাজে পারদর্শিতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন রক্তে মাংসে গড়া উমারা। তেমনই এক নারীর অসীম সাহসের কাহিনী জানুন এই প্রতিবেদনে।
তিনি খড়্গপুরে বাসিন্দা দীপান্বিতা দাস। পরিবার সামলে বেশ কয়েক বছর নিজের দায়িত্বে অবিচল এই মহিলা। তবে এবার থেকে বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর কাঁধে সংসারের বড় দায়িত্ব রয়েছে। তাও নিজের কর্তব্যে অবিচল তিনি। হাজারও যাত্রীদের নিয়ে ট্রেন চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছলেন এই নারী। ভাবতে বাধ্য হবেন, এও সম্ভব? বিগত কয়েক বছর ধরেই তিনি রেলের চাকরি করছেন। তবে এবার যেন তাঁর মুকুটে আরও বড় রকমের পালক জুড়লো। তিনি এবার যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো শুরু করলেন। তিনি বিগত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়ে আসছেন। এবার তার ঘটল প্রমোশন। একাদশী দিন থেকেই তিনি প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চালালেন।
তিনি মেদিনীপুর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে হাওড়ায় আসেন। দীপান্বিতা হলেন প্রথম মহিলা লোকো পাইলট যিনি খড়গপুর ডিভিশনের মেদিনীপুর থেকে হাওড়া শহরতলী সেকশনে যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে এলেন। মহিলা লোকো পাইলট দেখে সকলের চোখ কপালে উঠেছিল।কিন্তু তিনি দায়িত্ব সামলালেন দক্ষতার সঙ্গেই। একাদশীর দিন সকাল ৬ টা২০ মিনিটের মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল ট্রেন চালালেন দ্বীপান্বিতা। দীপান্বিতার পথ চলা শুরু হয়েছিল আজ থেকে কুড়ি বছর আগে। ২০০৩ সালে তিনি আর্য ডিভিশনের আনারে রেলের চাকরিতে যোগ দেন।এরপর ২০০৬ সালে তিনি খড়গপুর ডিভিশনে বদলি হন।২০১৪ সাল থেকে তিনি পণ্যবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট হিসাবে কাজ শুরু করেন।
একাদশীর দিন দীপান্বিতার সঙ্গে ছিলেন তপন কুমার সামন্ত। তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী পরপর ৫ দিন ওর সঙ্গে থাকতে হবে। সাবলীলভাবেই ট্রেন চালিয়েছেন তিনি।অন্যদিকে দীপান্বিতা বলছেন, বুধবার সকালে লোকাল ট্রেন নিয়ে হাওড়া গিয়েছিলাম। আবার সেখান থেকে মেদিনীপুরে ফিরিয়ে এনেছি আরও একটি লোকাল ট্রেন।’ পণ্যবাহী ট্রেনের সাধারণত সময় একটু বেশি লাগে। কিন্তু যাত্রীবাহী ট্রেনের সেটা অনেকটাই কম। শারীরিক পরীক্ষার পরে ট্রেন চালানোর অনুমতি মেলে। আমরা এখানে সবাই সমান। এতদিন ধরে ট্রেন চালাচ্ছি ভয়ের কিছুই নেই।’ তবে ট্রেন চালালে কি হবে ডিউটির পাশাপাশি সংসারে সকল দায়ভার তিনি নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন। তাঁর স্বামীও রেলে চাকরি করেন। ট্রেন চালানোর সঙ্গে ঘরকন্যা দুহাতে সব সামলাচ্ছেন দীপান্বিতা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম