Lettuce: হার্ট থাকবে সুস্থ, মন হবে তরতাজা! বাড়ির টবে রাখুন এই সামান্য শাক

।। প্রথম কলকাতা ।।

Lettuce: শীত পড়তেই রঙ বেরঙের সবজিতে ভরে উঠছে বাজার। এই সময়ে বাজারে বেশ দর হাঁকায় লেটুস শাক। শীত প্রধান দেশগুলিতে সারা বছরই লেটুস শাক পাওয়া যায়। এই শাকের উপকার সম্পর্কে যদি বলা হয়, তাহলে সেই তালিকা একটু লম্বা হবে। বিশেষ করে স্যালাড কিংবা খাবারের প্লেট সাজাতে এর জুড়ি মেলা ভার। বাজারে এর দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই কিনতে গিয়ে দুবার ভাবেন। লেটুস যদি ছোট্ট টবেই পাওয়া যেত, তাহলে মন্দ হত না। লেটুস শাক চাষে খরচ এবং পরিশ্রম দুটোই কম।

• চাষের সময়

শীতপ্রধান দেশে প্রায় সারা বছর ধরে লেটুস শাক পাওয়া যায়। আমাদের দেশে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আপনি এই শাক পাবেন। এছাড়াও স্টোরের শাক সারা বছরের জন্য রয়েছে। তবে এই শাক চাষের উপযুক্ত সময় হল অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।

মাটি তৈরি

•প্রথমেই দরকার ভালোভাবে মাটি তৈরি করে নেওয়া। আপনি চাইলে সরাসরি মাটিতে বীজ ছড়াতে পারেন আবার চারাও বপন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটি চারা থেকে অপর একটি চারার দূরত্ব রাখতে হবে কমপক্ষে ৮ ইঞ্চি । বীজ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বিস্তার পরিসরের প্রয়োজন, ছোট্ট টবে আপনি ভালভাবে শুধুমাত্র একটি লেটুসের চারা বপন করতে পারবেন।

•লেটুসের বীজ খুব ছোট ছোট হয়। তাই সরাসরি বীজ মাটিতে না ফেলে, তার সাথে মাটি বা ছাই মিশিয়ে নেবেন।

•লেটুসের বিভিন্ন জাত রয়েছে যেমন কিং ক্রাউন, কুইন ক্রাউন,ডার্ক ,হোয়াইট বোস্টন প্রভৃতি। আপনি যেকোনো ভালো নার্সারিতে এই শাকের বীজ বা চারা পেয়ে যাবেন। অনেক জায়গায় চারা পিস দরে বিক্রি হয়, তবে সে ক্ষেত্রে বীজ কিনলে বেশি লাভবান হবেন। চারা বপন করতে হবে পড়ন্ত বিকেলে।

•লেটুস শাকের জন্য উর্বর , ঝুরঝুরে এবং হালকা মাটির প্রয়োজন। খেয়াল রাখবেন, টবে জল শুকিয়ে যাওয়ার পরে মাটি যেন ফেটে না যায়।

•বেলে দোআঁশ মাটির সাথে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। যদি একান্তই বেলে দোআঁশ মাটি না পান তাহলে এঁটেল মাটির সাথে শুধুমাত্র জৈব সারের পরিমাণটা একটু বাড়িয়ে দিলেই যথেষ্ট। জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার খোল আর গোবর সার।

পরিচর্যা

•শাকের গোড়া সর্বদা আগাছামুক্ত রাখতে হবে। যথাযথ জল নিকাশির ব্যবস্থা করবেন। একদিকে যেমন জল জমতে দেওয়া যাবে না অপরদিকে এই শাকের জলের প্রয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

•গাছ একটু বড় হওয়ার সাথে সাথেই গাছের গোড়ায় ভালোভাবে মাটি দিতে হবে।

•লেটুস শাকের যম হলো ছাতা রোগ। যদি দেখেন গাছের পাতার অগ্রভাগ কোন কারণে ঝলসে গেছে বা নুইয়ে পড়েছে তৎক্ষণাৎ সেই অংশ কেটে ফেলে দিতে হবে। চারা লাগানোর মাত্র এক মাস পর থেকেই আপনি লেটুস পাতা খেতে পারবেন।

লেটুস শাকের বহুবিধ উপকারিতা

•দৈনন্দিন খাবারের প্লেটে একটু করে লেটুস শাক রাখলে , ব্রেন সেল গুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।

•লেটুস শাক শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

•যাদের অনিদ্রাজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য লেটুস শাক বন্ধুর মত।

•মানব শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ঘাটতি পূরণ করে লেটুস শাক। এছাড়াও শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিক বের করে দেওয়ার কাজে লেটুস শাকের জুড়ি মেলা ভার।

•লেটুস শাক আমাদের স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমাতে সাহায্য করে। কোন কিছু নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা হলে লেটুস শাক ফোটানো জল খেতে পারেন। ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version