তিব্বতে চীনাদের ব্রেনও’য়াশ করছেন দলাই লামা! চরম অস্বস্তিতে জিনপিং, কী ঘটে গেল ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের অস্বস্তি ফের বেড়ে গেল তিব্বত নিয়ে। ফের চীনের বিরুদ্ধে বড় বয়ান দলাই লামার। চীনাদের ব্রেনওয়াশ করতে চান তিনি! প্রকাশ্যে মন্তব্য ভারতে বসে লামা যা বললেন তাতে জিংপিংয়ের টেনশন বাড়ছে। একেবারেই চীনে যেতে চান না তিনি, এমনকি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে চান ভারতেই। নিজের মুখে এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন দলাই লামা। একইসঙ্গে চলতি বছরে এটাও জানান চীন তাঁর সঙ্গে রীতিমত যোগাযোগ করতে চাইছে।

এবার হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বসে কার্যত চাঞ্চল্যকর দাবি লামার। তিব্বতকে কি ভারতের অংশ বলে দিলেন তিনি? কূটনৈতিক মহলের দাবি এবার দলাই লামার সঙ্গে তিব্বত নিয়ে যদি সমঝোতা করতেই হয় তাহলে দশ বার ভাবতে হবে জিনপিং প্রশাসনকে। দলাই লামা তিব্বতকে চীনের অংশ বলে মেনে নিলেও এই বৌদ্ধ গুরু বলেন চীনের মধ্যে এই নির্দিষ্ট অংশে স্বায়ত্তশাসন চাইছি আমরা।এর ফলে সেখানকার অসংখ্য নাগরিককে আমরা সাহায্য করতে পারব রাজনৈতিক ভাবেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব। আমরা কোনও ভাগাভাগি চাই না আমরা। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর মানে তিব্বতে স্বায়ত্তশাসন চাইছেন তিনি, কিন্তু ঠিক কোন কারণে?

১৯৫৯ সালে তিব্বত তাদের অংশ বলে দখল নিয়েছিল বেজিং। সেই সময় তিব্বতের লাসা থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন দলাই লামা তারপর থেকে দলাই লামার স্থায়ী ঠিকানা হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা। ধর্মশালা থেকে বক্তব্য রাখার সময় খানিক মজার ছলেই দলাই লামা বলেন আমরা এমনটা চাইছি যাতে আমি ওই অংশের চিনা নাগরিকদের ব্রেনওয়াশ করতে পারি। চীন সরকার বারবারই তিব্বতের নাগরিকদের উসকানির অভিযোগ তুলেছে তাঁর বিরুদ্ধে। চীন বারবার প্রমাণ করতে চেয়েছে
ভারতের তরফে হয়ে তিব্বতীদের ব্রেনওয়াশ করেন লামা। তাই জিনপিং প্রশাসনের এই অভিযোগ নিয়েই সাংবাদিকদের সামনে হাস্যরসে মোড়া, স্বভাবসিদ্ধা ভঙ্গিতে পাল্টা জবাব দিলেন বৌদ্ধ গুরু।

তিব্বতের আধ্যাত্মিক গুরু দলাই লামা চীন সম্পর্কে তাঁর বর্তমান অবস্থান জানিয়ে ছিলেন। চলতি বছর জুলাইতেই তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন চীনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি তিব্বতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও লামা চীনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি ছিলেন। এবার যেন তিনি সেই কথা বলারই শর্ত রাখলেন বুঝিয়ে দিলেন তিব্বত নিয়ে আর কোনও ভাগাভাগি নয়। সোজা এই এলাকার স্বায়ত্তশাসন চাইছে তিনি। লামার এধরণের মন্তব্যের পর পাল্টা চুপ রয়েছে বেজিং। এই স্পর্শকাতর ইস্যুতে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি চীনের তরফে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version