Indian Railways: দেশের প্রথম গ্রিন স্টেশন এই বাংলায়, বলুনতো কোনটা? রাজ্যে চলছে বৃহত্তম সবুজ রেলওয়ের কাজও

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Indian Railways: বাংলার জন্য এলো দারুন খবর। ভারত হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীন রেলওয়ে। সে জন্য আগামী ছ বছর এই বাংলায় কাজের জোয়ার বইবে। ইতিমধ্যেই বাংলার সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক। কী সেই সাফল্য তা জানেন কি? এ রাজ্যে কোন কাজে জোর দেবে রেল? ২০৩০ সালের মধ্যে নিজেকে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীন রেলওয়ে হিসেবে দেখার লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছে ভারত। তার জন্য চলছে জোর তৎপরতা।

 

কিন্তু গ্রিন রেলওয়ে মানে কি সেটা আগে বুঝে নেওয়া যাক। আসলে গোটা বিশ্বই এখন দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশ্বজুড়ে ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিন যে দূষণ ছড়ায় তাও কিন্তু কম নয়।বরং তা বেশ উদ্বেগের। আগে কয়লা পুড়িয়ে পাওয়া তাপ বিদ্যুতে চলতো ট্রেন। এরপর এলো ডিজেল ইঞ্জিন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রেলের বৈদ্যুতিকীকরণ। সব লাইন বৈদ্যুতিক ট্রেন চললে তখন আর বাতাসে কার্বন মিশবে না। তখন তাকে বলা হবে গ্রিন রেলওয়ে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ করবে ভারতীয় রেল। তাতে বিশেষভাবে উপকৃত হতে চলেছে এই রাজ্য। কিভাবে?

 

গ্রিন রেলওয়ে করার জন্য বিশেষ জোড় দেওয়া হচ্ছে দেশের উত্তর পূর্ব সীমান্তে। এখানে এখনও পর্যন্ত ৬১ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পন্ন। শূন্য কার্বন নির্গত হওয়া ও সেই সঙ্গে ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ অর্জনের লক্ষ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বাড়াচ্ছে কাজের গতি। এই জোনের মধ্যে আন-ইলেক্ট্রিফাইড ব্রড গেজ রুটের সমস্ত বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ হচ্ছে। অসম, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরায় চলছে এই কাজ।

 

এর ফলে বাংলা থেকে এই রাজ্যগুলির মধ্যে ট্রেন চলাচলের ব্যাপক উন্নতি হবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে রেল নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে। পরিবহণের একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। এর পাশাপাশি গড়ে তোলা হবে গ্রিন স্টেশনও। ইতিমধ্যেই বাংলার মাথায় জুটেছে সেরার শিরোপা। দেশের প্রথম ‘গ্রিন স্টেশন’ হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে হাওড়াকে।

 

দেশের অন্যতম প্রাচীন, ব্যস্ত স্টেশনটি এমনিতেই রাজ্যের গর্ব। এ বার সেই গর্বগাথায় যোগ হল নতুন পালক। দেশের তাবড় তাবড় স্টেশনকে পিছনে ফেলে পরিবেশবান্ধব স্টেশন হিসেবে প্রথম স্বীকৃতিটি পেল হাওড়া। দেখা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশন হল পরিবেশবান্ধব। স্টেশনের দূষিত জল সরাসরি গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয় না। পরিশুদ্ধ করে গঙ্গায় ফেলা হয়। এ ছাড়া স্টেশনের ভিতরে লাগানো হয়েছে এলইডি লাইট যা বিদ্যুত সাশ্রয়ে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে। স্টেশন চত্বর সর্বদা পরিষ্কার থাকে। এই সবকটি বিষয় খতিয়ে দেখেই হাওড়াকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। স্টেশন চত্বরকে আরও সবুজ করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। চারধারে লাগানো হয়েছে নানারকম গাছ। এভাবে গড়ে তোলা হবে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিকেও।

https://fb.watch/s-rDMQiKI1/

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version